মারাত্মক নাক ডাকেন? পাশে কেউ শুতে চায় না? ঘুম ভেঙে যায়? সারাদিন ঝিমুনি? আপনার অজান্তেই ঘুমের মধ্যে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক?
তার পরিণতিও হতে পারে ভয়ঙ্কর।অনেকসময় নাকে মাংস বৃদ্ধির ফলে নাকের নালি ছোট হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। কমে যায় গলার পেশির নমনীয়তা।
তখন নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনও সমস্যা থাকলে নাক ডাকতে পারে। ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ঘুমের ওষুধ এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ গরমোনের আধিক্যজনিত রোগেও নাক ডাকতে পারে। অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমোলে জিভ পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, গর্ভবতী নারীরা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন রাত্রি নাক ডাকলে তাঁদের সন্তানের ওজন অন্যান্য নারীর সন্তানের তুলনায় কম হয়।
নাক ডাকার এই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? চিকিত্সকরা কয়েকটা প্রাথমিক পরামর্শ দিচ্ছেন,
সম্পূর্ণ চিত হয়ে না শুয়ে ডান বা বাঁয়ে কাত হয়ে শোওয়ার অভ্যাস করতে বলছেন চিকিত্সকরা।
এছাড়াও বেশি বালিশ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম, শরীরচর্চা এবং প্রচুর জলপানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
এতেও যদি নাক ডাকার সমস্যা দূর না হয়, তাহলে সিপিএপি যন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা
। এই যন্ত্র ঘুমের সময়ে বায়ুচাপের সমতা বজায় রেখে শ্বাসনালির পথ খোলা রাখতে সাহায্য করে