হিন্দু ধর্মে প্রায় তেত্রিশ কোটিও দেবদেবীর উল্লেখ থাকলেও জগন্নাথকে নিয়ে বোধহয় গল্প, রহস্য, মানুষের কৌতূহল সব-ই বেশি।
জগন্নাথ শব্দের অর্থ হলো জগতের নাথ। ওদিকে হিন্দু দেব-দেবীদের মধ্যে প্রধান হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। তার মধ্যে বিষ্ণু এবং মহেশ্বরকেই জগতের নাথ বলেন হিন্দুরা। তাহলে এবার প্রশ্ন আসছে, জগন্নাথ আসলে কে, বিষ্ণু না মহেশ্বর?
বেদ, রামায়ণ কিমবা মহাভারতে জগন্নাথের কোনও উল্লেখ নেই। আবার শাক্তরা দাবি করেন, জগন্নাথ নাকি ভৈরব বা শিব।
বাকি হিন্দু দেবতার মূর্তির মতো জগন্নাথের মূর্তি কিন্তু মাটির নয়, বরং কাঠের। এটা থেকে বহু গবেষক দাবি করেন, জগন্নাথ আসলে আদিবাসী দেবতা। ওড়িশার আদিবাসী শবররা ছিলেন বৃক্ষের উপাসক। তাঁরা নিজেদের দেবতাকে বলতেন জগনাত। তা থেকেই নাকি সংস্কৃত জগন্নাথ শব্দের উৎপত্তি। অনেকেই বলেন, শবররাজ বিশ্ববসুই প্রথমে জগন্নাথের পুজো করতেন।
ওদিকে শ্রীচৈতন্যদেব আবার জগন্নাথের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই থেকে বৈষ্ণবদের বড় অংশের বিশ্বাস, জগন্নাথ-ই আসলে কৃষ্ণ। অর্থাৎ জগন্নাথই কৃষ্ণ, তিনিই নীলমাধব, তিনিই নারায়ণ।