কলকাতা দিন গুনছে, কবে চল্লিশ ছোঁবে তাপমাত্রা। আর ঠিক তখন-ই কলকাতা থেকে মাত্র ৭০০ কিলোমিটার দূরে এই পাহাড়ি গ্রামে...না বরফ পড়ছে না, কিন্তু মাথার ওপরের সূর্যের দাপট পুষিয়ে দিচ্ছে পাহাড়ি নদির দিনভরের কুলকুল শব্দ। যারা এই ভরা চৈত্র কিমবা বৈশাখে উত্তরবঙ্গে যেতে পারবেন না, তাঁদের জন্য রইল এই ট্র্যাভেল ভ্লগ।
পিটিসি ১
দার্জিলিং জেলার অফবিট জায়গা গুলোর মধ্যে ছবির মতো একটা গ্রাম। গ্রামের নাম তাবাকোশি, মিরিক থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে অনেকটা নিচে নামলে এসে পড়বেন চা বাগানের মাঝে এক স্বর্গরাজ্যে। এটা গোপালধারা চা বাগান।
ট্রেনে করে এনজেপি স্টেশন বা প্লেনে বাগডোগড়া নামলে রিজার্ভ গাড়ি করে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে তাবাকোশি গ্রাম।
আচ্ছা, গ্রামের নাম কেন তাবাকোশি? কেমন জাপানি নামের মতো শোনায় না? আসলে নেপালি ভাষায় তাম্বা শব্দের অর্থ তামা, আর কোশি শব্দের অর্থ নদি, তাহলে তাবাকোশির আক্ষরিক মানে দাঁড়াল তামার মতো নদি।
পিটিসি ২
রিভারসাইড ডুয়েলিং-এ তিন ধরনের কটেজ রয়েছে। পাথরের, কাঠের ব্লকের আর পাইন কাঠের। তিনটেই খুব সুন্দর। কটেজের গা বেয়ে বয়ে যায় রংভং নদি, শিত গ্রীষ্মে জলের ধারা সরু হলেও মন্দ লাগে না, তবে বর্ষায় তাবাকোশি হয়ে ওঠে আরও রূপসী। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সূর্য ধোয়া ঘরে শুয়ে বসেও একটা দুপুর দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যায়। ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রংভং-এর বাড়বাড়ন্ত দেখতে হলে একটু দুরেই, এই বড় জোর ২০০ মিটার হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন মিষ্টি একটা ব্রিজে। কাছেই আবার তাবাকোশি বাজার।
হোমস্টে তে বসে, কিম্বা রংভং এর ধার ধরে হাঁটতে হাঁটতে দিব্যি সময় কাটবে। হাতে যদি বাড়তি একটা দিন থাকে তাহলে সাইট সিইং-এর জন্য জোড়পোখরি, লেপচাজগৎ, পশুপতি মার্কেট, গোপালধারা চা বাগান, মিরিক লেক, মনেস্ট্রি তো আছেই। আশেপাশে চা বাগান ঘেরা পাহাড়, তাই দুপুরে দূরে কোথাও না গিয়ে পাহাড়ে সামান্য উঠলেই দেখা পেতে পারেন দুধ সাদা কাঞ্চঙ্গঙ্ঘার।