(প্রথমে দার্জিলিং ম্যাল-এ গানের দৃশ্য, তারপর বুদবুদ এর ভিসুয়াল যাবে, তারপর ম্যাল-এর কিছু ভিসুয়াল)
এপ্রিলের গরমে প্রাণ হাঁসফাঁস। চোখ বন্ধ করলেই চোখে সর্ষে ফুল নয়, একটুকরো দার্জিলিং দেখতে মন চায়? কী? তাই তো? চলুন না তাহলে, দেখেই আসি! গুপি-বাঘার মতো আমার হাতে একটা তালি দিয়েই দেখুন, পৌঁছে গেছেন কুইন অফ হিলস-এ।
(এবার টয় ট্রেনের ভিসুয়াল) শহরে ঢোকার আগেই দর্শন দিলের সুন্দরী টয় ট্রেন। স্টিম ইঞ্জিনের ধোয়া আর কুয়াশা মিলে মিশে একাকার।
(এবার কেভেন্টার্স এর সামনের রাস্তা দিয়ে ম্যাল রোডে যাওয়ার ভিসুয়াল ইউজ হবে। )
আমাদের বর কিন্তু ভূতের রাজা-র মতো শক্তিশালী বর নয়, তাই আমাদের দার্জিলিং সফরের মেয়াদ কয়েক ঘণ্টার। তবু মন্দ কী! কেভেন্টার্সের আইসক্রিম দিয়ে মিষ্টি-মুখ শুরু। তারপর ভিড় ঠেলে ম্যালের দিকে একটু পা বাড়ানো আর কী! নিজের অজান্তেই থেমে গেছি যে স্বর্গরাজ্যে...তার নাম যেন কী? হ্যাঁ গ্লেনারিজ। দোকানের ১০০ মিটার দূর থেকেই কেক-কুকিজের গন্ধে ম ম করছে। শোকেসে সাজানো হরেক কিসিমের কেক পেস্ট্রি, টার্ট, ড্যানিস, প্যাটিস। ১৩৭ বছরের পুরনো দোকান, এদিকে দার্জিলিং-এর মাথার মুকুটের সবচেয়ে জ্বলজ্বলে পাথরটাই যেন গ্লেনারিজ।
ভেতরে জায়গা নেই, চলুন, বাইরের ব্যালকনিতেই বসি। আকাশ কিঞ্চিৎ বিট্রে করল, তাই আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার বদলে ঘন কালো মেঘ। ঠিক আছে, কুছ পরোয়া নেহি। গ্লেনারিজে বসে দার্জিলিং চায়ে চুমুকটুকু দিতে পারছি তো। আমার থেকে বেশি সুখী কে আছে আর?
(এখানে পায়রার উড়ে যাওয়ার ভিসুয়াল রেখো)
গ্লেনারিজের গা বেয়ে যখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামছে একটু একটু করে, তখন ম্যালজুড়ে হইহই, ব্যস্ততা। আট থেকে আশি, পাহাড়ের রাজকীয় মেজাজ। কোথাও ঘোড়ার পিঠে ম্যাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কচিকাচারা, কোথাও আবার রাস্তা হনুমানদের দখলে। কিউরিও শপে উপচে পড়ছে ভিড়।
(এবার আমার পিটিসি)
দুপুরের দার্জিলিং। একটু মোমো না খেলে হয়? মোমোর স্বাদ নিয়েই দে ছুট ডেকেভাসের দিকে। পাশেই কুঙ্গা। কিন্তু তাতে ভোজনরসিকদের ভিড় থিকথিকে হচ্ছে ক্রমশ। অতএব দিলখুশ করতে অর্ডার দিলাম পর্ক বাও।
খাওয়া দাওয়া অনেক তো হলো। সন্ধে নামছে যে, দাওয়াইপানি ফেরার আগে হোটেল উইন্ডামেয়ারকে মাঝে রেখে একবার চারদিকটা চক্কর দেওয়া চাই চাই। দার্জিলিং চার্চের গায়ে শেষ বিকেলের আলো লেগে আছে। সন্ধের ম্যাল আরও রঙিন হয়ে উঠছে। ঘন্টা ঘরে লাল নিল সবুজ বাহারি আলো।
(এখানে আবার একটু গান ব্যবহার হবে কোনও একজন শিল্পীর)
লোকে বলে দার্জিলিং নাকি তার নিজের চার্ম হারিয়ে ফেলছে, কেউ বলে...উফফ কী ভিড়...দম আটকে আসে, কেউ বলছে এত নোংরা...এত অনুযোগের মাঝেও পাহাড়ের রানি কিন্তু নিজের মেজাজে, নিজের ছন্দেই বেশ আছে, তাই না?