শ্যামা পুজাকে ঘিরে বেশ কিছুটা অন্ধকার, কিছুটা রহস্য সেই কতকাল থেকেই। সেরকমই এক পুজো ২১৫ বছরের হাওড়ার আগুনসি ভুঞেড়ার চক্রবর্তী পরিবারের পুজো।
ছাগলের রক্তের বদলে মানুষের বুক চেরা রক্তে তৃপ্ত হন হাওড়ার আগুনসি ভুঞেড়ার চক্রবর্তী পরিবারের দেবী কালিকা।
এই পরিবারের কালী পূজো শুরু হয় ১৮০৬ সালে। পূর্ব পুরুষ জগমোহন আচার্যকে দেবী স্বপ্ন দেখা দেন এবং তার আরাধনা করতে বলেন। পরের দিন পারিবারিক পুকুরে স্নান করতে নেমে একটি তামার ঘট পান এবং সেটিকে মাথায় তুলে ঘরে নিয়ে এসে পূজো শুরু করেন। যা আজো রয়েছে। এরপর দীপান্বিতা অমাবস্যায় মূর্তি তৈরী করে পূজো শুরু হয়। পরে স্থায়ী মূর্তি তৈরী হয়।অতীতে ছাগ বলি সহ ষোড়শোপচারে পূজো হলে ও গত পঞ্চাশ বছরে ছাগ বলি বন্ধ। পরিবর্তে পরিবারের বয্ঃজেষ্ঠ মানুষ বুক চিরে রক্ত দেন।যা দিয়ে পূজো হয়।
পরিবারে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি শঙ্কর চক্রবর্তী। জানান,তার পিতা যুগল চক্রবর্তীর মন ছাগলের রক্ত দেখে ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তিনি পূজোর দায়িত্ব নেওয়ার পর ছাগ বলি বন্ধ করে নিজের বুক চিরে রক্ত দেন। নিরীহ পশু বলির প্রতিবাদ করেন এই ভাবে।