কথায় আছে, রসে বসে বাঙালি । বিশেষ করে উৎসবের মরসুমগুলিতে তো কথাই নেই । রেস্টুরেন্ট থেকে ফাস্ট ফুডের দোকান । থিকথিক করে ভিড় । আর মিষ্টি ছাড়া তো যে কোনও উৎসব বাঙালির কাছে ফিকে ।
বিজয়া মানেই মিষ্টি । লক্ষ্মীপুজোর সময় নাড়ু, খই কিংবা তক্তি । মনে পড়লেই জিভে জল চলে আসে । আর দীপাবলির সময় তো মিষ্টির দোকানগুলিতে প্রচুর ভিড় থাকে । দীপাবলির সময় প্যাকেট প্যাকেট মিষ্টির অর্ডার দেন বড় ব্যবসায়ীরা । এরপরেই আবার বিয়ের মরসুম । সবকিছুতেই মিষ্টি ।
কিন্তু একটাই সমস্যা । এখন অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন । কিন্তু, এদিকে, মিষ্টিও খেতেও ভালোবাসেন । সামনেই আবার দীপাবলি । এই সময় মিষ্টি না খেলে হয় নাকি । বেঁচে থাকার আনন্দটাই যেন অর্ধেক হয়ে যায় । শুধু বাঙালি কেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে কোনও উতসব কিন্তু মিষ্টি ছাড়া চলে না ।
তবে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের মন খারাপ করার কিছু নেই । চিকিৎসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ না থাকলে, আপনিও আপনার প্রিয় মিষ্টি উপভোগ করতে পারেন । আপনার সামগ্রিক ক্যালোরির পরিমাণের উপর নজর রেখে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান করতে পারেন । তাই আপনাদের জন্য রইল ক্যালোরি-সহ কয়েকটি মিষ্টির তালিকা---
রসগোল্লা- ১৩১ গ্রামে ১২০ কিলো ক্যালরি
জলভরা সন্দেশ- ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ক্যালরি
মিষ্টি দই- ১০৬ কিলো ক্যালরি
জিলিপি-৫৫ গ্রামে ১৫০ কিলো ক্যালরি
কাজু বরফি- ১৯ গ্রামে ৯০ কিলো ক্যালরি
লাড্ডু(মতিচুর)-৩০ গ্রামে ১২০ কিলো ক্যালরি
বেসনের লাড্ডু- ৪২ গ্রামে ২১১ কিলো ক্যালরি
মিল্ক কেক-৪৩ গ্রামে ১৯০ কিলো ক্যালরি
গুলাব জামুন- ৫০ গ্রামে ১৫০ কিলো
শন পাপড়ি- ৩৫ গ্রামে ১৩০ কিলো ক্যালরি
পায়েস- ১৩০ গ্রামে ১২০ কিলো ক্যালরি
গাজরের হালুয়া- ১০০ গ্রামে ১৫০ কিলো ক্যালরি
শ্রীখণ্ড- ৪০ গ্রামে ১০০ কিলো ক্যালরি
তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যে কোনও খাবারের সঠিক ক্যালোরি তার রেসিপি, উপাদানের উপরও নির্ভর করে ।