আজ বিজয়া দশমী। উৎসবের শেষ দিন। শাস্ত্র এবং পুরাণ অনুযায়ী, এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দুর্গার জয় কিংবা রাবণকে পরাস্ত করতে রামের বিজয়লাভের মধ্য দিয়েই দেশজুড়ে অঞ্চলভেদে পালিত হয় বিজয়া দশমী এবং দশেরা উৎসব। শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি।
অপরদিকে, মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেনমা দুর্গা। তাই তাকে 'বিজয়া' বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটিকে 'বিজয়া দশমী' হিসেবে পালন করা হলেও সারা দেশে তা 'দশেরা' নামেই পালিত হয়। অন্যদিকে এই দিনেই লঙ্কাধিপতি রাবণকে পরাস্ত করে সীতাকে উদ্ধার করেছিলেন রাম।
শাস্ত্রমতে, এই দিনে দেবী দুর্গার বিসর্জন কিংবা রাবণের মূর্তি পোড়ানো বিশেষ বার্তাবহ। অশুভ শক্তিকে নাশ করে শুভ শক্তির সঞ্চারের প্রতীকী এই উৎসব।
এই দিন অপরাজিতা পূজাও হয়। দেবীপুরাণ থেকে জানা যায় দুর্গার আরেক নাম হল 'অপরাজিতা'। অর্থাৎ যার পরাজয় হয় না। যিনি চতুর্ভূজা। হাতে শঙ্খ, চক্র, বর ও অভয়মুদ্রা; গায়ের রং নীল; ত্রিনয়না ও মাথায় চন্দ্রকলা। বিসর্জনের পর পূজামণ্ডপের ঈশানকোণে অষ্টদল পদ্ম এঁকে অপরাজিতার লতা রেখে এই দেবীর পূজা করা হয়।
Bijaya Dashami: সকাল থেকেই বিসর্জনের সুর, চোখের জলে মা দুর্গাকে বিদায় জানানোর পালা
পঞ্জিকা অনুসারে, এবার দেবীর দোলায় গমন। শাস্ত্র জানায়, এর ফল হবে মড়ক। করোনা অতিমারীতে অবশ্য ইতিমধ্যেই ক্ষতবিক্ষত বঙ্গ।