অতিমারীর (Pandemic) প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে একটা গোটা বছর আমি-আপনি কাটিয়ে দিলাম নিউ নর্মালে (New Normal)। পাকাপাকি ভাবে বদলে গেল যাপনের (Lifestyle) বেশ কিছুটা। একদিনে নয়, দীর্ঘ প্রায় বছর দুয়েকের নানা বদল আমাদের অনেক নতুন কিছু শেখাল। নতুন বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে একবার ফিরে তাকানো যাক সে সবের দিকে।
অল্প নিয়ে বাঁচা
কড়া লকডাউনের দিনগুলো মনে আছে? বাজারের ফর্দের তালিকা থেকে বাদ পড়ত একের এক এক জিনিস। বার কয়েক কাটাকাটির পর বেঁচে থাকত যা কিছু, তা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। একেবারে না হলেই যা চলছে না। আমাদের অনেকের মধ্যেই কিন্তু সেই অভ্যেস রয়ে গেল, যত টুকু দরকার, ততটুকুই সংগ্রহের অভ্যেস (minimalistic approach)।
স্বাস্থ্যই সম্পদ
২০২০ এর মার্চের আগে পর্যন্ত জীবন একরকম চলছিল। করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব রাতারাতি সারা দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিল সুস্থ থাকার প্রয়জনীয়তা এবং প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) বাড়ানোর প্রয়জনীয়তা। বহু বছর পর তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাওয়ার দিকে ঝোঁক এল। দোকানের ফাস্ট ফুডের চেয়ে বেশি চাহিদা হল ঘরে তৈরি খাবারের।
যোগাভ্যাস এবং মেডিটেশন
গত দু বছরে বাড়ির বাইরে বেরনো কমেছে অধিকাংশ মানুষের। জিম বন্ধ, মর্নিং ওয়াকের জন্য বাড়ির বাইরে বেরনোও সমস্যা ছিল কোনও কোনও ক্ষেত্রে। শরীরচর্চার বিকল্প হিসেবে অন্যেকেই বেছে নিয়েছেন নিয়মিত যোগাভ্যাস (Yoga)। অতিমারীর দিনগুলোয় বাড়তে থাকা উদ্বেগ, স্ট্রেস কাটাতেও সাহায্য করেছে মেডিটেশন (Meditation)।
মনের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা
লকডাউন-অতিমারী আমাদের বুঝিয়েছে, শরীরের ভাল থাকা যতটা জরুরি, মনের ভাল থাকাও, ততটাই। মনের অসুখ নিয়ে কথা বলা, অবসাদ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার দিকে ঝোঁক ক্রমশ বাড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) নিয়ে অকারণ আড়াল, ফিসফাস ক্রমশ করছে। বাড়ছে সচেতনতা।