বন্ধু চল রোদ্দুরে
মন কেমন মাঠ জুড়ে
খেলব আজ ওই ঘাসে
তোর টিমে, তোর পাশে
বন্ধু । প্রত্যেকের জীবনেই এই শব্দটার অস্তিত্ব থাকা ভীষণভাবে প্রয়োজন । এই শব্দেই যে লুকিয়ে ভাল থাকার ওষুধ, হাজারও সমস্যার সমাধান, মনের কথা উজার করে বলার জায়গা । প্রত্যেক মানুষের জীবনেই সেরকমই একটি বন্ধুর প্রয়োজন । যাকে বলা হয় বেস্ট ফ্রেন্ড । যার কাছে খারাপ লাগা হোক কিংবা ভাল লাগা, সবটা শেয়ার করা যাবে নির্দ্বিধায় । তাতে থাকবে না বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা । বেস্ট ফ্রেন্ড তো তো মা-বাবা, দাদু-দিদা, দাদা-দিদি...যে কেউ হতে পারে । আজ সেই বন্ধুত্ব উদযাপনের দিন । ৮ জুন পালিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড বেস্ট ফ্রেন্ড ডে
১৯৩৫ সালের ৮ জুন এই দিনটিকে বেস্ট ফ্রেন্ড ডে হিসেবে পালন করার স্বীকৃতি দেয় মার্কিন কংগ্রেস । অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার জাতীয় বন্ধুত্ব দিবস এবং ৮ জুন বিশ্ব বেস্ট ফ্রেন্ড দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করে তারা। তারপর থেকেই বেস্ট ফ্রেন্ড ডে পালিত হয়ে আসছে । তবে, সাম্প্রতিক সময় সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই দিনটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে । প্রিয় বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর উদ্দেশ্যেই পালন করা হচ্ছে দিনটি ।
বাস্তব জীবনে তো বটেই, সিনেমাতেও এমন কিছু আইকনিক অনস্ক্রিন বন্ধু জুটি আছেন, যাঁরা একটা আদর্শ স্থাপন করেছেন । তাহলে আজ এই বিশেষ দিনে দেখে নেওয়া যাক বলিউডের সেরকমই সেরা ৫ অনস্ক্রিন বন্ধুদের ।
জয়-বীরু
বলিউডের বন্ধু জুটির কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে একটাই নাম । শোলে সিনেমার জয়-বীরু । জয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন । বীরু হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র । দু'জনের অনস্ক্রিন বন্ধুত্ব দর্শকদের মনে একটা চিরকালীন জায়গা তৈরি করে নিয়েছে । দুই বন্ধুর গলায় গলায় বন্ধুত্ব বা বেস্ট ফ্রেন্ড যাঁরা, অনেকেই কিন্তু তাদের 'জয়-বীরু' নাম দিয়ে দেন । শোলে সিনেমার এই আইকনিক বন্ধু জুটি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ।
করণ-অর্জুন
ইয়ে বন্ধন তো, প্যায়ার কা...শাহরুখ খান ও সলমন খান অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা করণ-অর্জুন । দুই ভাই করণ-অর্জুন । তবে, বন্ধুত্ব আর কোনও সম্পর্কে বা বয়সে সীমাবদ্ধ থাকে না । সেক্ষেত্রে, ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বের আদর্শ জুটি কিন্তু করণ-অর্জুনকেও বলা যেতেই পারে ।
রাহুল-অঞ্জলি
'কুছ কুছ হোতা হ্যায়'। নয়ের দশকের ট্রেন্ডসেটার সিনেমা । শাহরুখ খানের 'কুল' ডুড লুক, অঞ্জলির বব-কাট চুল যেমন নয়া ট্রেন্ড সেট করেছিল, তেমনই নব্বইয়ের দশকের ছেলে-মেয়েদের কাছে রাহুল-অঞ্জলিই ছিল বন্ধুত্বের আদর্শের উদাহরণ । তবে, এই বন্ধুত্বের রং কিন্তু ২৫-২৬ বছর পেরিয়েও এতটুকু ফিকে হয়নি । রাহুল-অঞ্জলির প্রাসঙ্গিকত আজও রয়েছে । রাহুলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান । অঞ্জলির চরিত্রে কাজল । বাস্তবেও তাঁরা খুব ভাল বন্ধু ।
মুন্নাভাই-সার্কিট
সিলভার স্ক্রিনের বন্ধুত্বের আরও একটি অসাধারণ জুটি মুন্নাভাই-সার্কিট । ২০০৩ সালে 'মুন্না ভাই এমবিবিএস'। ২০০৬ সালে 'লগে রহো মুন্না ভাই'। জয়-বীরু ও করণ-অর্জুনের পর মুন্না ভাই ও সার্কিট জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের । সঞ্জয় দত্ত ও আরশাদ ওয়ারসি এই জুটি মনে থেকে যাবে চিরকাল
থ্রি ইডিয়টস
তিন বন্ধুর গল্প । রাজু রস্তোগী, ফারহান কুরেশি আর র্যাঞ্চো । কলেজ লাইফে তিন বন্ধুর কার্যকলাপ দেখলে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে । বন্ধুত্বে কি শুধু হাসি-মজা ? রয়েছে অনেকটা আবেগ । সুখে-দুঃখে, জীবনের ওঠা-পড়ায় একটা বন্ধু যে থাকা কতটা জরুরি, তার বড় উদাহরণ থ্রি ইডিয়টস ।