সামনেই ১৫ অগাস্ট। ছুটির দিন। ১-২ দিনের সফরে ঘুরে আসার জন্য রইল এই বাংলার ৫টি দুর্দান্ত স্থানের হদিশ।
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর অতি জনপ্রিয় স্থান। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে, একটু অন্য ধরনের জায়গায় যেতে চাইলে ঝিলিমিলি। বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ি, শাল গাছে ভরা আমডুবির জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হবে ঝিলিমিলির জঙ্গলে। কলকাতা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরত্ব। জঙ্গলের ভিতর কটেজ এবং অপূর্ব সুন্দর ট্রি-হাউজ। রিমলি কটেজে থাকা খাওয়া মিলিয়ে খরচ ১,৫০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকা।
প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনি। যাকে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গের 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন'। হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি হয়ে যেতে হবে গড়বেতা। গড়বেতা স্টেশন থেকে টোটো নিয়ে হুমগড়-গড়বেতা রুট ধরে যাওয়া যাবে আমলাগড় জঙ্গলে। এই জঙ্গলে গেলে হাতির জল খাওয়ার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যাবে। এই স্থানটি হাতির জন্যই বিখ্যাত। পুরো সফরটি মাত্র ৫০০ টাকাতেই করা যেতে পারে।
ফুল মানেই আনন্দ। আর, পশ্চিমবঙ্গে ফুলের উপত্যকা বলা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরাইকে। মেদিনীপুর বা খড়গপুর লোকাল ধরে নিয়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যাবে হাওড়া থেকে। কাঁসাই ও কংসাবতীর তীরের এই ছোট্ট স্থানটি ঘুরে আসা যাবে পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা নিয়েই।
কলকাতা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর ২৪ পরগনার এই বিশেষ স্থানটি। যা অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিদ্যাধরি নদীর তীরে অবস্থিত চন্দ্রকেতুগড়। যার আরেক নাম 'বাংলার হরপ্পা'।
পুরুলিয়া জেলায় অবস্থিত বামনি ফলস। হাওড়া থেকে বাস বা ট্রেনে অযোধ্যা পাহাড় এবং বামনি ফলসে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ঘণ্টা চারেকের মধ্যে। বামনি ফলস দেখার আদর্শ সময় হল বর্ষা। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যখন জলপ্রপাতটি পূর্ণ প্রবাহে থাকে এবং আশেপাশের পরিবেশ সবুজে ভরে থাকে।