একা থাকা এবং একা বাঁচা স্বাধীনভাবে, কোন মানুষই না উপভোর করে! তবে, তারপরেও একটা সময় আসে, যখন পাখি ফিরতে চায় তার নীড়ে। একটা সম্পর্কে জড়ানোর জন্য উথালিপাথালি করে মানুষের মন। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই সৃষ্টি হয় প্যারাসোশ্যাল রিলেশনশিপ বা অ-সামাজিক সম্পর্কের সম্ভাবনা। এর ফলে কখনও সেলিব্রিটিদের সঙ্গে কল্পনায় সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে মানুষ। কখনও বা, ওই মানুষটি নিজেই নিজের কল্পনায় হয়ে ওঠে একজন সেলিব্রিটি!
গবেষণা জানাচ্ছে, অতিমারির পর এই ধরনের সম্পর্কের সম্ভাবনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালের মে মাসের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, এই অতিমারির ফলে ঘরবন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে একা থাকতে অভ্যস্থ হয়ে উঠতে উঠতেই মানুষ ক্রমশ নিজের আরেক সত্তার সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে তুলছে। তার নিজেরই সেই আরেক সত্তা আবার তার নিজের চোখেই সেলিব্রিটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অজস্র নেটিজেনকে দেখা যায়, যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। যদিও, এই 'প্যারাসোশ্যাল রিলেশনশিপ' শব্দবন্ধটি নতুন নয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ডোনাল্ড হর্টন এবং আর রিচার্ড ওহল প্রথম এই শব্দবন্ধের উদ্ভাবন করেন।
এই সম্পর্কটি মূলত একতরফা। সেই সেলিব্রিটি আপনাকে চেনেনও না, অথচ, আপনার শয়নে স্বপনে জাগরণে তিনি রয়ে গিয়েছেন সবসময়ই।
যদিও, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই ধরনের সম্পর্ক সর্বদা যে সমস্যাই হয়ে উঠবে, তেমনটাও নয়। বরং, অনেক ক্ষেত্রেই এই বিশেষ ধরনের সম্পর্কে থাকলে সংশ্লিষ্ট মানুষটি অনেক বেশি করে সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে উঠতে পারেন।