দীর্ঘ দু'বছর পর একটা নতুন বছর (Bengali New Year) আসতে চলেছে, যার গায়ে মাস্ক, স্যানিটাইজারের আর ওষুধের প্রলেপ কিছুটা কম। করোনার আতঙ্কে থমকে থাকা কমেছে। বরং বেড়েছে নতুন করে বাঁচার তাগিদ। দেখতে দেখতে এসে গেল ১৪২৯ (Poila Baishakh)। বাঙালির নতুন বছর।
সদ্যজাত সন্তানের মতো আসতে চলা নতুন বছরকে নিয়ে আমাদের কত আদর-যত্ন-ভালবাসা থাকে, আশা থাকে, থাকে আয়োজন। সব ভাল দিয়ে ভরিয়ে রাখতে চাই আমরা প্রিয়জনদের।
এক একটা বছর শেষ হয়ে নতুন একটা বছর আসে। কী বদলায় আসলে? বলি বটে, নতুন সূর্য, নতুন দিন, আসলে কিন্তু পৃথিবীর বয়স বাড়ে, আমাদেরও। আর বাড়ে অভিজ্ঞতা।
উদযাপনের জন্য একটা অজুহাত তো চাই, বছরের এই সময়টা সেই মিষ্টি অজুহাত। পৃথিবীর বয়স বাড়বে বলে আনন্দ, হই হুল্লোর, হাসি-মজা-গল্প-গান।
আর নতুন বছরে পুরনো সব কিছুকে বাদ দিতেই হবে কেন? সঙ্গে নিয়েও তো চলা যায়। সে কথা একবার মনে করিয়ে দিন না আপনার ভালোবাসার মানুষদের।
নতুন বছর কাটুক সবাইকে নিয়ে, সুস্থ ভাবে। আর ক্যালেন্ডারের পাতার সঙ্গে সঙ্গে দিনগুলোও যেন পালটায়। আমরা যেন হাঁটতে পারি অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।
শুভ দিন (Bengali new year wishes) ভেবে এই দিনটিতে পুজো-আচ্চারও রীতি রেওয়াজ রয়েছে কোনও কোনও ঘরে। দোকানে-বাজারে আবার এই দিন থেকে নতুন হালখাতায় (Haalkhata) নতুন হিসেব-নিকেশ শুরু। তাই সেখানেও সাজো সাজো রব।
আরও পড়ুন: এসে গেল নতুন বছর, তার আগে জেনে নিন 'হালখাতা'র ইতিহাস
বাংলাদেশের মতো এখন কলকাতাতেও বাংলা বছরের প্রথম দিনে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার, যা 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' (Happy Bengali New Year) নামে পরিচিত। ঘরে ঘরে এইদিন একটু ঘটা করে খাওয়া দাওয়া হবেই। সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন ছোট-বড় হতে পারে, তবে এই দিনটাকে নিয়ে আন্তরিকতায় ঘাটতি থাকে না কারও।