১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে। তার কিছুক্ষণ পর গ্রেফতার করা হয় সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকে। গ্রেফতারির পর সোমবার রাতেই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় সন্দীপ ঘোষের। মঙ্গলবার চারজনকেই আদালতে তোলা হবে।
আরজি কর হাসপাতালে গত ৯ অগাস্ট এক ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করার দিন কয়েকের মধ্যেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। ১৬ অগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে সন্দীপকে। সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্দীপকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজ়াম প্যালেসের অফিসে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আফসার আলি, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ। এর মধ্যে আফসার হলেন সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী। অপরদিকে, সুমন ও বিপ্লব সিংহ ভেন্ডার হিসাবে পরিচিত।
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার জনই আপাতত রয়েছেন নিজ়াম প্যালেস। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০(প্রতারণা) এবং ১২০বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় সন্দীপকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরবর্তীতে ধর্ষণ এবং খুনের মামলাও যুক্ত করা হতে পারে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় টাকা পাচারের তদন্তে ইডি সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার জেরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার এতদিন পরেও স্বাস্থ্যভবন কেন তাঁকে সাসপেন্ড করল না, সেই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আন্দোলকারী জুনিয়র ডাক্তারদের।