ধর্ম বা শাস্ত্রের দিক দিয়ে তেমন কোনও তাৎপর্য নেই পয়লা বৈশাখের (Paila Bishakh)। এটি মূলত ছিল প্রজাদের কাছ থেকে জমিদারদের খাজনা আদায়ের দিন। খাজনা আদায়ের একটি সামঞ্জস্য আনার লক্ষ্যেই বাংলা সনের প্রবর্তন করেন মুঘল সম্রাট আকবর (Mughal emperor Akbar)। মুঘল সাম্রাজ্যের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেউল্লাহ সিরাজির সাহায্যে এই বাংলা সন (Bengali new year 2023) তৈরি করা হয়। যা শুরু হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে।
প্রত্যেকে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকলেই খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খান জমিদারদের উপর নবাবি কর্তৃত্ব রাখার জন্যে বৈশাখে (Bengali new year 2023) ‘পুণ্যাহ’ প্রথা চালু করেন। জমিদাররা মুর্শিদাবাদে এসে নবাবের দরবারে খাজনা জমা দিতেন।
অন্যদিকে, জমিদার ও ভূস্বামীরা তাঁদের রায়ত বা প্রজাদের নিয়ে পুণ্যাহ পালন করতেন। ফেলে আসা বছরের বকেয়া খাজনা (Taxes) পরিশোধ করতে বাধ্য হতেন প্রজারা।
প্রজাদের কাছ থেকে জোর করে খাজনা আদায়ের পর তাঁদের অর্থেই মিষ্টিমুখ সহ গানবাজনার আয়োজন করা হতো। এ যেন খানিকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মতোই ব্যাপার। সেই সময়ের পয়লা বৈশাখ (Bengali new year 2023) একেবারে সাধারণ বাঙালিদের কাছে তাই আনন্দের উৎসব ছিল না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথার সঙ্গেই মুছে যায় পুণ্যাহ প্রথাও। তবে, বাঙালির জীবন থেকে সেদিনের পুণ্যাহের আরেক রূপ 'হালখাতা' পুরোপুরি মুছে যায়নি এখনও।