ফাল্গুনী পূর্ণিমার তিথিতে পালন করা হয় বসন্তোৎসব। পুরাণমতে, শ্রীকৃষ্ণের বহু লীলার মধ্যে অন্যতম এই বিশেষ লীলা। সমস্ত বাঙালির কাছে যেমন দোল, তেমনই আম ভারতীয়দের কাছে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে 'হোলি'র। যা পালন করা হয় দোলযাত্রার পরদিন। এই দোলযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে নানারকম কথিত কাহিনী। পুরাণ অনুযায়ী, এই দোল উৎসবে মেতেছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও। দ্বাপর যুগে দুই দৈত্যের অত্যাচারে মথুরাবাসী অত্যন্ত সন্ত্রস্ত ছিলেন। সব সময় তারা ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। সে সময়ে সকল মথুরাবাসী এক হয়ে শ্রীকৃষ্ণের কাছে তাদের এই অত্যাচারের কথা বর্ণনা করে তাঁদের রক্ষা করতে অনুরোধ করেন।
কথিত আছে, ঠিক ফাল্গুনী পুর্ণিমার আগের দিন শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম মিলে ওই দুই দৈত্যকে হত্যা করেন। এর পর সন্ধ্যার সময় শুকনো কাঠ, খড়কুটো দিয়ে তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেন। সেই দিন থেকেই ন্যাড়াপোড়া প্রচলিত হয়। আর, মথুরাবাসী তাঁদের মুক্তির দিনটি শ্রীকৃষ্ণ এবং বলরামের সঙ্গে রঙে রঙে উদযাপন করেন। ওইদিন থেকেই পালন করা শুরু হয় দোল উৎসব।