Weekend Travel Destination/Getaways from kolkata : ব্যস্ত সময়ে একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসতটুকু নেই কারোর। এমন সময় তিন দিনের লম্বা উইকেন্ড, ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। অনেকেই ভাবছেন, কীভাবে সময় কাটাবেন? বাড়ি বসে প্রিয় ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য লম্বা সময় পড়ে রয়েছে, এই উইকেন্ড হোক একটু অন্যরকম। শেষ কবে আত্মীয় স্বজন, বা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে গেছেন চেনা শহর থেকে একটু দূরে? মনে পড়ছে না তো, এই সপ্তা হান্ত তাহলে মনে রাখার মতোই কাটান। খুব দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে যাওয়া আসায় সময় যাবে অনেকটা, সফরের পর থাকবে ক্লান্তির রেশ। তার চেয়ে বরং রইল কাছে পিঠে ঘোরার কিছু ঠিকানা
কলকাতা থেকে সামান্য দূরে রূপনারায়ন নদীর তীরে রয়েছে দেউলটি, রয়েছে কথা সাহিত্যিক শরৎ চন্দ্রের বসত ভিটে। একটু দূরেই নদীর পাড় থেকে দেখা যায় চমৎকার সূর্যাস্ত। আর হাইওয়ের ওপর দিয়ে আর একটু এগোলেই কোলাঘাট। সেখানেও রূপনারায়নের পাড়।
বাওয়ালি- বজবজ লাইনে কলকাতা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে বাওয়ালি জমিদার বাড়ি। ব্যবস্থা রাজকীয়। তবে একটু কম খরচে থাকতে হলে রাজবাড়ির কাছেই রয়েছে বেশ কয়েকটি হোম স্টে। সে সবেও দারুণ ব্যবস্থা, মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে প্রশস্ত গঙ্গা, বিকেলের নানা রঙ বদলানো দেখেই কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘন্টা।
কলকাতা এত কাছে এত প্রসস্ত গঙ্গা আর মোহনা দেখা যায় একমাত্র ডায়মন্ড হারবার থেকেই। গাড়ি অথবা ট্রেন, দুইয়েই যাওয়া খুব সোজা। গঙ্গার হাওয়া খেতে খেতেই কাটতে পারে গোটা দিন, রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল হোটেল। এ ছাড়া কাছে পিঠে আছে রায়চক ফোর্ট। সেই চত্ত্বরে ঢুকলে আবার আলাদা জগত, যেন আলাদা একটা শহর।
এই ঠাকানারও আসল রানী ইছামতী নদী। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ইছামতীর ধার, দুই বাংলার পতাকা লাগানো নৌকোর যাতায়াত আর লাগোয়া গোলপাতার জঙ্গল দেখলে মন ভালো না হয়ে যায়?