পাহাড়ে ঘুরতে গেলে জনপ্রিয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের চেয়ে আমায় অনেক বেশি টানে একটু অন্য ধরনের জায়গা। এবারের কালিম্পং সফরে সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত সেরকম এক ডেস্টিনেশন ছিল গ্রাহামস হোমস স্কুল।
তবে চ্যাপেলে ঢোকার তিনটে দরজাই বন্ধ ছিল, কিন্তু যারা আগে গ্রাহাম'স হোমের এই গির্জায় এসেছেন, তাঁদের মুখে শুনেছি, গির্জার ভেতরে তেমন আড়ম্বর নেই। বরং গির্জার বাইরেটা বেশ গা ছমছম করা।
কালিম্পং পাহাড়ের ওপরে ঠিক যেন ছবিতে দেখা বা গল্পে পড়া একটা স্কুল! গ্রাহাম'স হোমস। স্কুল তৈরি হয়েছিল ১৯০০ সালে। যার নামে গ্রাহামস হোমস, সেই রেভারেন্ড ডক্টর জন অ্যান্ডারসন গ্রাহাম ১৯০০ সালে তৈরি করেছিলেন তাঁর স্বপ্নের স্কুল। চলতি বছরে গ্রাহাম'স হোম'স স্কুলের ১২৫ বছর উদযাপন।
এই স্কুলে বোর্ডিং-এর ব্যবস্থাও যেমন আছে, আবার স্থানীয়রাও নিয়মিত স্কুল যাতায়াত করে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশ আসে প্রান্তিক পরিবার থেকে।
মধ্যবিত্ত বাঙালির আটপৌরে জীবনে সযত্নে লালিত একটা স্বপ্ন থাকে। শৈশবের কিছুটা সময় কোনও পাহাড়ি শহরের বোর্ডিং স্কুলে পড়া। ঠিক এনিড ব্লাইটন সিরিজ থেকে উঠে আসা এক স্কুলের মতো। কালিম্পং-এর গ্রাহাম'স হোম'স সেই স্বপ্নকে যেন আরেকটু উসকে দেয়।