শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2023), পুরাণ মতে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। বাঙালি বাড়িতে এই দিন পঞ্চব্যঞ্জনে গোপালকে ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। লোকমতে প্রচলিত হিসেব বলে, এটা ৫,২৫০ তম জন্মাষ্টমী। কয়েক হাজার বছর আগের কথা। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা অষ্টমীর এক দুর্যোগময় রাতে বসুদেব আর দেবকীর অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম। কিন্তু জন্মলগ্নের পরই কৃষ্ণের ঘর বদল। গোকুলে বাবা নন্দ মা যশোদা-র ঘরে বেড়ে উঠলেন শ্রী কৃষ্ণ (Sri Krishna)।
হিন্দু রীতিতে এই তিথির বিশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য রয়েছে। এবছর জন্মষ্টমী পালন হবে ২৬ অগাস্ট, সোমবার। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। মনে করা হয় এই ৫৬ ভোগেই কৃষ্ণ প্রসন্ন হন।
ভাত , ডাল ,চাটনি ,কঢ়ী ,দই-সব্জির কঢ়ী, সিখরন , বড়া , শরবৎ , মঠরী , ফেনি এমন হরেক পদে সাজিয়ে দেওয়া হয় ভোগের থালা। তবে বাঙালি বাড়িতে হাতে তৈরি তালপোয়া, তালের বড়া, পায়েস, লুচি, পাঁচ ভাজা এমন না না পদে সাজানো হয় গোপালের ভোগের থালা।
কেন দেওয়া হয় ৫৬ পদ?
কথিত রয়েছে টানা ৭ দিন শ্রীকৃষ্ণ এক আঙুলে পর্বত তুলে ধরেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের অষ্টপ্রহর সেবা দেওয়া হত। কিন্তু ওই কয়েকদিন তিনি অন্ন-জল স্পর্শ করেননি। সেই মতোই, তিনি ফিরে আসার পর তাঁকে ৭ দিন অষ্টপ্রহরের হিসেবে ৫৬ পদ ভোগ দেওয়া হয়। এই বিশ্বাস থেকেই চলে আসছে রীতি।