ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা অষ্টমীর এক দুর্যোগময় রাত । কংসের কারাগারে বসুদেব আর দেবকীর অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম । ওই রাতেই বদলে গিয়েছিল কৃষ্ণের ঘর । কংসকে বধের জন্য গোকুলে বাবা নন্দ ও মা যশোদা-র ঘরে বেড়ে উঠলেন শ্রী কৃষ্ণ । পুরাণের এ কাহিনী সকলেরই জানা । প্রত্যেক বছর ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতেই পালিত হয় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী । এবছর শ্রীকৃষ্ণের ৫,২৫০ তম জন্মদিন । জন্মাষ্টমীতে দেশজুড়ে ধূমধাম করে পালন হয় কৃষ্ণের জন্মদিন । তবে, জানেন কি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মতে জন্মাষ্টমী পালন করা হয় । জেনে নেওয়া যাক দেশের কোথায় কী ভাবে পালন করা হয় কৃষ্ণের জন্মদিন ।
বৃন্দাবন, উত্তরপ্রদেশ
শ্রীকৃষ্ণ তাঁর শৈশবের অনেকটা সময় বৃন্দাবনে কাটিয়েছিলেন । মনে করা হয়, বৃন্দাবনের মধুবনে রাস লীলা করেছিলেন কৃষ্ণ । জন্মাষ্টমীর দিন বৃন্দাবনের ইস্কন মন্দির, রংনাথজী মন্দির, বাঁকে বিহারী মন্দির, রাধারমন মন্দির ফুল, আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় । রাসলীলার আয়োজন করা হয় ।
দ্বারকা, গুজরাট
দ্বারকা । শ্রীকৃষ্ণের রাজ্য । জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণ রঙিন আলো এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয় । এখানে কৃষ্ণের শিশু রূপকে পুজো করা হয় । কীর্তন, ভজন হয় । সোনা, হিরের গয়না দিয়ে সাজানো হয় দ্বারকাধীশকে ।
মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রে ধূমধাম করে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী । এখানে সবথেকে জনপ্রিয় হল দহি হান্ডি পর্ব । কৃষ্ণের জন্মদিনে দই ভরতি হাঁড়ি ফাটানোর জন্য প্রতিযোগিতা হয় । সিনেমা, সিরিয়ালে এদৃশ্য অনেকেই দেখেছেন ।
পশ্চিমবঙ্গ
বাংলায় কৃষ্ণকে জন্মাষ্টমীর দিন গোপাল রুপে পুজো করা হয় । জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। মনে করা হয় এই ৫৬ ভোগেই কৃষ্ণ প্রসন্ন হন। বাঙালি বাড়িতে গোপালের থালা সাজানো হয় তালের বড়া, পায়েস, লুচি, পাঁচরকম ভাজা দিয়ে । ওড়িশাতেও একইভাবে জন্মাষ্টমী পালন করা হয় ।