কৃষ্ণনগরবাসীর বিজয়া। সারা রাত লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল শহরের রাজপথে। বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে কাঁধে করে ঠাকুর ভাসানের এই প্রথা কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য৷ গত দু'বছর করোনার কারণে এই সাঙ বন্ধ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। তবে তার বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নেমেছিলেন শহরের উৎসবপ্রেমী মানুষ। এবছর পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হতেই ফের পুরোনো ছন্দে শহরের ঐতিহ্যবাহী ভাসান কার্নিভাল।
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী কাঁধে করে প্রতিমা প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে৷ রাণীমা তার আসনে বসে শহরের সব ঠাকুর দেখবেন বলে, এই ছিল নিয়ম। রাজবাড়ি প্রদক্ষিণ করে তারপর ঘাটে যায় সব ঠাকুর। দীর্ঘদিনের সেই প্রথা আজও সমানতালে চলে আসছে।
আরও পড়ুন- Jagadhatri Puja 2022 : বেলুড় মঠে মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা, জয়রামবাটীতে মাতৃমন্দিরে ভক্তদের ভিড়
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জন হয় দু'দিন ধরে। এই পুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই নিরঞ্জন। প্রথম দিন শহরের প্রধান পুজোগুলির সাঙে বিসর্জন হয়। দ্বিতীয় দিন অন্যান্য বারোয়ারী ক্লাবের ভাসান হয় গাড়িতে৷ প্রতিমার আন্দাজে নির্ভর করে বেয়ারার সংখ্যা। ১০৮ টি ঢাক, বাজনা সহকারে কাঁধে করে নিরঞ্জনের পথে এগোন মা জগদ্ধাত্রী।
কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ছোট মা, সোনা মা, মিষ্টি মা সহ প্রথম দিন বিসর্জন হয় প্রায় ৬০টি প্রতিমা। সবশেষে যান কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে পুরোনো জগদ্বাত্রী প্রতিমা বুড়িমা। সারা গায়ে প্রায় ৭ কেজি গয়না নিয়েই শোভাযাত্রায় বের হন বুড়িমা। ঘাটে গিয়ে সেই গয়না খুলিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। বুড়িমা জলে পড়তেই শেষ হয় প্রথম দিনের ভাসান৷ শুরু হয় ফের এক বছরের অপেক্ষা।