শস্য-শ্যমলা বঙ্গ কার্যত ফুটছে। হাওয়া অফিস, আগামীতেও গরম থেকে রক্ষে পাওয়ার কোনও আশার বাণী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। মে মাসের শুরু অবধিও বাংলার টেম্পারেচার কমার কোনও লক্ষণই নেই. দুপুর রোদে রুটি রুজির তাগিদে যারা বের হচ্ছেন, তাঁদের সুস্থ শরীরে বাড়ি ফেরা কার্যত বিরাট চ্যালেঞ্জের মতো।
দুপুর বেলায় ফ্যান চালালেও কষ্ট বাড়ছে বই কমছে না। যেন আগুনের গোলা নামছে ছাদ থেকে। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে, এসি আর বিলাসিতা নয় বরং নেসিসিটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সবার এসি কেনার সামর্থ্য থাকে না। আবার সবসময় এসি চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। তাই আজ রইল এসি না চালিয়েও ঘর ঠাণ্ডা করার বেশ কয়েকটি উপায়।
দুপুর বেলা দরজা জানলা বন্ধ রাখুন। তবে সেসময় ঘরে মোটা পর্দা থাকা আবশ্যিক। অর্থাৎ ঘর যতটা সম্ভব আলো আঁধারি রাখুন। বেলা গড়ালে তাপমাত্রা কমে, ফলে ঘরে ঠাণ্ডা হাওয়া চলাচল করলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে।
সিলিং ফ্যান ছাদের তাপ নামিয়ে আনে ঘরে। তাই খুব গরমে সিলিং ফ্যানের জায়গায় ব্যবহার করুন টেবিল ফ্যান।
ঘর খুব গরম হয়ে জানলার দিকে মুখ ঘুরিয়ে চালান টেবিল ফ্যান। এই ট্রিক একজস্ট ফ্যানের কাজ করবে। ঘরের গরমটা বাইরে বের করে দেবে।
গরমে বিছানায় শুলেও যেন ছেঁকা লাগে, সেক্ষেত্রে হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। উপরে পাতুন শীতল পাটি। অন্তত ঘুমটুকু শান্তিতে হবে।
সর্বত্র গাছ কেটে ফেলার মাশুলই গুণতে হচ্ছে আমাদের। তাই গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। ঘর ঠান্ডা রাখতে ঘরেই বানান বাগান। ঘর সাজান ইন্ডোর প্ল্যান্টে। ইন্ডোর প্ল্যান্ট ঘরের বাতাস ঠাণ্ডা রাখে। প্রয়োজনে জানলার কাছে রাখুন গাছ।
জানলা জুড়ে টাঙিয়ে রাখুন ভারী পর্দা। যাতে বাইরের তাপ ঘরে প্রবেশ করতে বাধা পায়।
হালকা রঙ কম তাপ শোষণ করে। তাই ঘরের দেওয়ালে হালকা রঙ থাকলে তুলনামূলক ঘর ঠান্ডা থাকে।
খুব গরমে ছোট টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন এক বাটি বরফ, এতে কিছুক্ষণের জন্য ঘরের হাওয়া ঠান্ডা হবে।
ফ্যান থেকে যখন আগুন হাওয়া নামছে, প্রাণ জুড়োতে পারে তালপাতার হাতপাখার মিষ্টি হাওয়ায়।
গরমের কথা মাথায় রেখে ঘরের পূব-পশ্চিমে অবশ্যই সানশেড বানান চওড়া করে, দক্ষিণ রাখুন খোলা।