গত ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, এবারের গরম। ৪২, ৪৩ তো দূর কোথাও কোথাও পারদ ছুঁয়েছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদের প্রতাপে দুপুর বেলা বের হলে, হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। যদিও হাওয়া অফিস বলছে সোমবার থেকেই স্বস্তির বৃষ্টি নামবে বঙ্গে। তবুও মে, জুন মাস এখনও কাটাতে হবে। এই প্রখর গ্রীষ্মে আপনার খাওয়া থেকে ঘুম, স্নান থেকে সাজগোজ সব কিছুর টিপস রইল এডিটরজি বাংলার তরফে।
কবার স্নান?
গরম থেকে বাঁচতে বারবার স্নান করলে খানিক স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিকই, তবে দুপুরের গরম জল গায়ে ঢেলে কোনও লাভ নেই। সেক্ষেত্রে আগে থেকে বালতিতে জল তুলে ঠান্ডা করতে রাখুন। গরমে বার চারেক স্নান করতেই পারেন অনায়াসে, তবে সব ক্ষেত্রে মাথা ভেজানোর দরকার নেই। বাইরে যাওয়ার আগে, এবং ফিরে স্নান করুন। অত্যাধিক গরমে হিট হয়ে যায় শরীর। আগে থেকে তুলে রাখা ঠান্ডা জল ঢাললে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে।
শুধুই পানীয়:
গরমে তেল মশলা যতটা পারবেন কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাস্তা ঘাটে যখন বের হচ্ছেন ব্যাগে রাখুন নানা ধরনের পানীয়, যাতে পেট ও ভরে আবার শরীর ও ঠান্ডা থাকে। এই গরমে, ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভবনা প্রভূত। তাই যত সম্ভব জল খান, সঙ্গে নানা রকমের পানীয়। যেমন ছাতুর শরবত, তরমুজের শরবত, দইয়ের ঘোল, কাঁচা আমের শরবত খান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
ভরা পেটে ফল :
এই সময় শরীর সুস্থ এবং চাঙ্গা রাখতে রসালো ফলের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজের বিকল্প নেই, এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। খেতে পারেন জামরুল, এই ফল ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সঙ্গে আঁখ, শসা, পাকা পেঁপেও রাখুন লাঞ্চের পর।
ফুরফুরে , হালকা রঙের পোশাক:
তীব্র গরমে সুতি ছাড়া আর সমস্ত ফেব্রিক এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল। হালকা শার্ট, ঢিলেঢালা কুর্তি, ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, ওভার সাইজড টিশার্ট পরুন। রঙ হোক একেবারে হালকা। বেরোনোর সময় মাথা জড়িয়ে নিন সুতির পাতলা ওড়নায়।
ত্বক ও চুলের যত্ন:
এই গরমে ট্যান পড়বেই। কিন্তু তা তুলতেও জানতে হবে। ত্বক এবং চুলের ক্ষেত্রে এই গরমে টিপস একটাই পরিষ্কার রাখুন। বারবার চোখে মুখে জলের ঝাপ্টা দিন, রোদে গরমে চুলের গোড়ায় ঘাম জমে। তাই ফিরে চুল শ্যাম্পু করুন নিয়মিত। গরমের দিনে ত্বক আর্দ্র রাখতে চাইলে ব্যবহার করুন ফেস মিস্ট। তীব্র গরমে যাঁদের রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হয় তাঁরা ব্যাগে রাখুন ফেস মিস্টের একটা শিশি।
পর্যাপ্ত ঘুম : এই গরমে দুপুরে বিছানায় গা ঠেকানোর উপায় থাকে না। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কিন্তু কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। তাই রাতে খুব বেশি দেরি না করে ভাল। ঘুমের আগে গায়ে জল ঢেলে এসে, পর্যাপ্ত ঘুমোন অন্তত ৭ ঘণ্টা।
ছাতা, সানস্ক্রিন:
ছাতা, সানস্ক্রিন ছাড়া মোটেই বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সঙ্গে থাক সানগ্লাস, টুপিও।