গণেশের (Ganesh Puja) মূর্তির একটা বৈশিষ্ট্য হল, তাঁর একটা দাঁত ভাঙা। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনও ব্যাখা রয়েছে।
‘মহাভারত’ (Mahabharat) অনুসারে প্রজাপতি ব্রহ্মার নির্দেশে এই মহাকাব্য মহর্ষি বেদব্যাস এবং গণেশের লেখা। শর্ত ছিল, একটানা বলে যাবেন বেদব্যাস আর তা একটানা একটুও না থেমে লিখে যাবেন গণেশ। তবে শুধু লিখলেই হবে না। পুরোটা বুঝতেও হবে একই সঙ্গে। এই ভাবে মহাকাব্য ‘মহাভারত’ লেখা শেষ করতে সময় লেগেছিল তিন বছর।
Ganesh Chaturthi 2022 : সব পুজোর আগে কেন গণেশ পুজো করা হয় ? জেনে নিন ইতিহাস
টানা লিখতে লিখতে এক সময় হঠাৎই লেখার পালকটি ভেঙে যায় গণেশের। অথচ, শর্তানুযাইয়ী থামা তো যাবে না। তা হলে? তখন গণপতি নিজের একটি দাঁত ভেঙে তা দিয়েই লেখা চালিয়ে যান। সেই থেকেই নাকি গজাননের একটি দাঁত ভাঙা।
অন্য একটি সূত্র বলে, এক বার পরশুরাম নাকি মহাদেবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর গৃহে যান। কিন্তু মহাদেব ধ্যানে মগ্ন ছিলেন বলেই গণপতি দরজাতেই তাঁকে আটকে দেন। রাগে, ক্ষোভে পরশুরাম নাকি গণেশের একটি দাঁত কট করে কেটে দেন।