দুর্গাপুজো মেনেই রাত জেগে ঠাকুর দেখা, হই-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া । দুর্গাপুজো মানেই ছুটির আমেজ । ব্যস্ত জীবনে পরিবারের বাকি দিনগুলিতে পরিবারকে সময় দিতে না পরালেও, পুজোর ছুটির অপেক্ষায় থাকেন অনেকে । কলকাতায় এখন পুজো শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকেই । তাই শহরের পুজো দেখে কাছে-পিঠে কোথাও ঘুরে আসাই যায় । আবার অনেকে পুজোর সময় শহরের কোলাহলের বাইরে নির্জনে কাটাতে চায় কয়েকটা দিন । এডিটরজি বাংলায় আজ সেরকমই একটি অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ রইল । যেখানে পাহাড়, নদীর সঙ্গমে ছুটিটা যে দারুণ কাটবে, তা বলাইবাহুল্য ।
বিজনবাড়ি
দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম । যেখানে একদিকে, সবুজের সমাহার, আরেকদিকে অবিরাম বয়ে চলেছে রঙ্গীত নদী । শহরের কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে গেলে বিজনবাড়ি বেস্ট ডেস্টিনেশন । ভোরবেলা ঘুম ভাঙবে পাখিদের কলতান ও রঙ্গীত নদীর কুলকুল শব্দে । প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য এখানেই ঢেলে দিয়েছে ।
শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটারের পথ । আর ঘুম থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরেই বিজনবাড়ি । বিজনবাড়ি যাওয়ার দু'টো রাস্তা । একটা ঘুম হয়ে যাওয়া যায় । এছাড়া, দার্জিলিং দিয়েও যাওয়া যায় । তবে, ঘুম থেকে বিজনবাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা ছবির মতো সুন্দর । ঘুম পার করেই দেখা মিলবে সবুজে মোড়া চা বাগানের। সেইসঙ্গে পাহাড়ের হাতছানি । বিজনবাড়ির দিকে যত এগোবেন তত শুনতে পাবেন রঙ্গীত নদীর সেই কুলুকুলু শব্দ ।
কীভাবে যাবেন ?
শিলিগুড়িতে নেমে শেয়ার ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়িতে সোজা বিজনবাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন । গাড়ি ভাড়া তিন থেকে চার হাজার টাকা পরে । তবে, মরসুম অনুযায়ী দাম ওঠা-নামা করে ।
কোথায় থাকবেন ?
একদিন বা দু'দিনের জন্য বিজনবাড়ি বেস্ট ডেস্টিনেশন । এই পাহাড়ি গ্রামে রাত কাটানোর জন্য বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে । একেবারে রঙ্গীত নদীর ধারেই হোমস্টেগুলি । বারান্দা বা ঘর থেকে বসেই চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে রঙ্গীত নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন ।
খরচ
বিভিন্ন ধরনের হোমস্টে আছে । একেবার রঙ্গীত নদীর ধারে, পাহাড়ের কোলে সুইম পুলে স্নান করতে করতে বিজনবাড়িকে উপভোগ করতে চাইলে থাকা-খাওয়া মিলিয়ে খরচ হতে পারে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা । ন্যূনতম ১৫০০ টাকাতেও দারুণ হোম স্টে পেয়ে যাবেন ।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন ?
বিজনবাড়িতে দু'দিন কাটিয়ে চলে যেতে পারেন দার্জিলিং । মিরিকে থাকতে চাইলে সেই বিকল্পও রয়েছে । বাতাসিয়া লুপ, জাপানিজ টেম্পল, জু, হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেটের মতো জায়গাগুলোও ঘুরে নিতে পারেন ।