দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো শেষে অপেক্ষা থাকে কালীপুজোর । আলোর উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে । তবে পুজো মানেই যে শুধু হইহই বা খাওয়া-দাওয়া, তা তো নয় । একটা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হাজারও নিয়ম, গল্পকথা । এই যেমন কালীপুজোর আগের দিনই অনেকের বাড়িতেই ১৪ শাক খাওয়ার নিয়ম রয়েছে । একইসঙ্গে জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপও । তবে কেন ১৪ শাক খেতে হয় । ১৪ রকমে কোন কোন শাক থাকে, কেন খাওয়া হয়, জেনে নিন...
১৪ শাক খাওয়ার কারণ
বাঙালিরা ভূত চতুর্দশীতে দুপুরে ১৪ শাক খায়, এবং সন্ধ্যেয় ১৪ প্রদীপ জ্বালায় ৷ সাধারণত মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় । এই আকাশ, মাটি উর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যেই মিশে থাকেন পূর্বপুরুষরা । তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই ১৪ রকমের শাক খাওয়া হয় । পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় ।
১৪ শাক খাওয়ার বৈজ্ঞাণিক কারণও আছে । বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা বলছে এই সময় ঋতুপরিবর্তনের কারণে নানা অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে, এই ১৪ শাক খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।
১৪ শাকে কী কী থাকে ?
১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে সজনে,পলতা,সরষে,গুলঞ্চ,ভাটপাতা,শুলফা, হেলঞ্চ,ওল,বেথুয়া, কালকাসন্দি,শুষনি,জয়ন্তী নটে। তবে এই ১৪ রকমের শাক একসঙ্গে পাওয়া দুষ্কর । ১৪ শাক ধুয়ে সেই জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির প্রতিটি কোণে। পরে সেটা রান্না করে খাওয়া হয় ।