সোমবার রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে রাম মূর্তি নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন তিনি। গর্ভগৃহে উপস্থিত রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল, RSS প্রধান মোহন ভগবৎ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার সাধু উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও দেশ ও বিদেশের কয়েকশো আমন্ত্রিতের উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কী বললেন?
কী বললেন তিনি?
কী কী বললেন-
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রাম মন্দিরের একটি রেপ্লিকা তুলে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মূল মন্দিরের বাইরে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মন্দির চত্বরে উপস্থিত সাধুদের সঙ্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।
প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মন্দির চত্বরে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার শেষে মূল বিগ্রহে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলেন প্রধানমন্ত্রী।
দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ঘোষণা করা হয় রাম মন্দিরের মূল বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ ভক্তদের জন্য এবার মন্দির খুলে দেওয়া হবে।
রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে পানাগড়ে বিশেষ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধর্মীয় পতাকা সহযোগে ওই মিছিল শুরু হয়।
মূল বিগ্রহে আরতি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও আরতি করেন মোহন ভগবৎ।
অযোধ্যা রাম মন্দিরে উন্মোচন করা হল মূল মূর্তি। মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, RSS প্রধান মোহন ভগবৎ এবং যোগী আদিত্যনাথ।
রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাম নাম স্লোগান তোলে পড়ুয়াদের একাংশ। উল্টো দিক থেকে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়। দুপক্ষের মধ্যে কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
মোহন ভগবৎ ও যোগী আদিত্যনাথ উপস্থিত থাকলেও মূল পুজোতে অংশগ্রহণ করেছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল পুজো শুরু হল গর্ভগৃহে। পুজোয় অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। RSS প্রধান মোহন ভগবৎ-ও রয়েছেন সেখানে।
মূল মন্দিরে প্রবেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে রয়েছে বিশেষ মুকুট এবং বস্ত্র।
অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই কোচবিহারে শুরু হল বিশেষ পুজো। ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেখানকার মন্দির।
সোমবার সকাল থেকে রাম ভজন শুরু করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। হারমোনিয়াম সহযোগে ভজন শুরু করেন তিনি।
ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কলকাতায় মিছিল করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ-এর রামমন্দির যাচ্ছেন তিনি।
রামের উদ্দেশে মন্দির চত্বরে গান গাইছেন গায়ক শঙ্কর মহাদেবন।
নিজের এলাকার ছোটো শিশুদের রাম সাজিয়ে তাঁদের পায়ে পুষ্প নিবেদন করেন জগন্নাথ সরকার। এবং তাঁদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি।
অযোধ্যা রাম মন্দিরে পৌঁছলেন দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন তিনি।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুরে শোভাযাত্রা।
মন্দির চত্বরে ভজন-কীর্তন শুরু করলেন গায়ক সনু নিগম।
সকাল ১০টা ৩০ এর কিছু পরে অযোধ্যা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় মূল মন্দিরের ভিতরে উপস্থিত থাকবেন তিনি। হেলিকপ্টারে পৌঁছলেন তিনি।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেওয়াল। তিনি বলেন, "এই দিনে রাম মন্দিরে উপস্থিত থাকতে পেরে খুব গর্ব বোধ হচ্ছে। আজ রামের দর্শন পাওয়া যাবে। আমি খুব খুশি।"
রাম মন্দিরে পৌঁছলেন মাধুরী দীক্ষিত, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুশমান খুরানা, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং রোহিত শেট্টি।
BJP-র অভিযোগ, রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ রাখার জন্য মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। এই অভিযোগে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তামিলনাড়ু সরকারকে নোটিস ধরাল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
হাজার হাজার মানুষের মিছিল পৌঁছচ্ছে অযোধ্যার উদ্দেশে। সোমবার সকাল থেকেই মিছিল পৌঁছতে শুরু করেছে।
বিভিন্নভাবে নিজেদের সাজিয়ে তুলেছেন রাম ভক্তরা। রঙিন হয়ে উঠেছে অযোধ্যা।
রাম মন্দিরে পৌঁছলেন ভারতী গ্রুপের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তল। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর এবং অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের অভিযোগ, রাম মন্দিরের মূল অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য LED স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি খুলে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
'ভগবানের উপর বিশ্বাস'-রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এমনই মন্তব্য করলেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
১০টা ২০ মিনিট নাগাদ মন্দিরে পৌঁছলেন RSS এর প্রধান মোহন ভগবৎ
রামমন্দির উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠানে লালকৃষ্ণ আডবাণী উপস্থিত থাকবেন না বলেই জানা গিয়েছে। প্রবল ঠান্ডার জন্যই সেখানে যেতে পারছেন না তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অযোধ্যার রাম মন্দিরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর তিনি মূল বিগ্রহের দর্শন করতে পারেন।
হাজার হাজার সাধু ভিড় জমিয়েছেন মন্দির চত্বরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন তাঁরা।
রাম মন্দিরে পৌঁছলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছন তিনি। উপস্থিত আমন্ত্রিতদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি।
অযোধ্যার রাম মন্দিরে কলস যাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুরু হচ্ছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের আচার।
সোমবার ডাউন শান্তিপুর লোকাল ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। অযোধ্যা রাম মন্দিরের ছবি লাগিয়েছেন তাঁরা। ট্রেনর সকল যাত্রীদের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হয়।
প্যারিস, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়রা লাড্ডু বিতরণ করেন।
দমদম রোডে কলস যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, রাম বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত সমস্যার সমাধান হবে। গোটা দেশে যে পরিবর্তন হবে তা অত্যন্ত ভালো হবে। সব মানুষ নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে থাকবে।
রাম মন্দির ট্রাস্টের দেওয়া অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টা ২০ থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এবং বেলা ১ টার মধ্যে শেষ হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার যাবতীয় আচার।
আলপনা, ফুল সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অযোধ্যার বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তা।
কঠোর নিরাপত্তা অযোধ্যায়। বিভিন্ন এলাকায় সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে অনেক জায়গায়।
ভোর থেকে হাজার হাজার ভক্ত যাচ্ছেন অযোধ্যায়। সোমবার কয়েক লাখ লোক সমাগম হতে পারে প্রশাসনের ধারণা। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন বিতর্ক চলার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের নির্দেশে রাম মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশের ও বিদেশের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ওই বিতর্ক থেকে কীভাবে রাম মন্দির তৈরি হল? জেনে নেওয়া যাক সেই ইতিহাস-
১৫২৮ সাল- কথিত আছে মুঘল সাম্রাজ্য চলাকালীন মীর বাকি বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন।
১৮৮৫ সাল- মহন্ত রঘুবীর দাস ফইজাবাদ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাম জন্মভূমির স্থানে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।
১৯৪৯ সাল- বিতর্কিত কাঠামোর বাইরের একটি জায়গায় রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫০ সাল- ফইজাবাদ আদালতে ফের একটি মামলা দায়ের করেন গোপাল সিমলা বিশারদ নামে এক ব্যক্তি। যে রামের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেখানে পুজো করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন।
১৯৫৯ সাল- নিরমোহী আখরা ওই বিতর্কিত জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফের একটি মামলা দায়ের করে।
১৯৬১ সাল- এবার বিতর্কিত জমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন এক ব্যক্তি। তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
১৯৮১ সাল- উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়। দাবি করে ওই জমি তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
১৯৮৬ সাল- দীর্ঘ শুনানির পর আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই জায়গায় পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা।
১৯৯২ সাল- বিতর্কিত জমিতে গড়ে ওঠা কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। হাজার হাজার করসেবক ওই বিতর্কিত স্থানে সেদিন জড়ো হয়েছিলেন।
১৯৯৩ সাল- কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি আইন পাস হয়। যার নাম "Acquisition of Certain Area at Ayodhya Act"। মূলত ওই আইন প্রয়োগ করেই বিতর্কিত জমির দখল নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বছরই এলাহাবাদ হাইকোর্টে একাধিক রিট পিটিশন দাখিল করা হয়।
২৪ অক্টোবর ১৯৯৪ সাল- হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেয় যে স্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা মুসলিমদের নয়।
২০০২ সাল- এলাহাবাদ হাইকোর্টে ফের একটি মামলার শুনানি শুরু হয়। বিতর্কিত জমির অধিকারী কারা সেই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
১৩ মার্চ ২০০৩ সাল- এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ওই বিতর্কিত এলাকায় কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোনও ধর্মের মানুষই ওই জমি ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ সাল- হাইকোর্ট একটি সিদ্ধান্তে আসে। ওই বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নিরমোহী আখড়ার মধ্যে ভাগ করে দেয়।
৯ মে ২০১১ সাল: ২০১০ সালে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সাল- বিজেপি নেতা সুভ্রমণিয়ম স্বামী সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। তাঁর আবেদন ছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দিতে হবে।
২১ মার্চ ২০১৭ সাল- তৎকালীন বিচারপতি জে এস খেহর পুরো বিষয়টি আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
৭ অগাস্ট ২০১৭ সাল- ১৯৯৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে উত্তর প্রদেশ সিয়া ওয়াকফ বোর্ড।
২০ নভেম্বর ২০১৭ সাল- উত্তর প্রদেশ সিয়া ওয়াকফ বোর্ডের তরফে আদালতের কাছে জানানো হয় অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করা হোক এবং লখনউ-এ মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক।
১ ডিসেম্বর ২০১৭: সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ৩২ টি সংগঠন। ওয়াকফ বোর্ড ও রাম মন্দির ট্রাস্টির মধ্যে জমি ভাগ করে দেওয়ার বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা।
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮: সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়।
৬ জুলাই ২০১৮ সাল: উত্তর প্রদেশ সরকার আদালতে জানান, কয়েকটি মুসলিম সংগঠন শুনানি প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার চক্রান্ত করেছিল।
২০ জুলাই ২০১৮ সাল: রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত।
২০১৯ সাল: ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
৯ নভেম্বর ২০১৯ সাল:প্রায় ৭০ বছর ধরে চলতে থাকা টানাপোড়েনের ইতি হয়। রায় দান করে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি ট্রাস্ট গঠন করে দেওয়া হবে। এবং এবং তারা ২.৭৭ একর জমি পাবে। যেখানে রাম মন্দির গড়ে উঠবে। পাশাপাশি মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।
৫ অগাস্ট ২০২০: রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২২ জানুয়ারি ২০২৪: রাম মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।