ভারতের অপরাধের ইতিহাসে আরও এক ট্রলি-কাণ্ডের সমাধান। কলকাতার আহিরীটোলার পর এবার হরিয়ানার রোহতাকে কংগ্রেস কর্মী হিমানী নারওয়াল খুনে গ্রেফতার করা হল তাঁর প্রেমিক রাহুলকে। সম্প্রতি পিসিমা শাশুড়ির দেহ চার টুকরো করে কেটে এনে গঙ্গায় ভাসাতে গিয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লীর বাসিন্দা ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। দেহ ভাসানোর আগে তাঁদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
হরিয়ানার হিমানী খুনেও প্রেমিক রাহুল ধরা পড়েছেন সিসি ফুটেজের সূত্র ধরেই। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। সেই ছবি দেখেই হরিয়ানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে রাহুলকে। জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমেই হিমানির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল রাহুলের।
হরিয়ানায় ভারত জড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পরিচিত হয় হিমানির। রাহুলের সঙ্গে তাঁর ছবি খুব দ্রুত ভাইরালও হয়। পরবর্তী সময়ে হরিয়ানার যুব কংগ্রেসের মুখ হয়ে ওঠেন এই হিমানি। মেয়েকে খুন করার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। তারপরেও হিমানির মায়ের দাবি, এই ঘটনায় জড়িত আরও অনেকে। তাঁরা কারা সেই উত্তর এখনও নেই হরিয়ানা পুলিশের কাছে।
এদিকে আহিরীটোলার ঘটনাতেও নয়া মোড় দেখতে পারছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় বারাসত জেলা পুলিশ আরও একটি ট্রলি উদ্ধার করেছে। বারাসত জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, একটি দেহতে তোলা হয় সুমিতা ঘোষের দেহ। অন্য একটি ট্রলিতে রাখা ছিল দেহ কাটতে ব্যবহৃত অস্ত্র।
পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় দ্বিতীয় ট্রলির কথা স্বীকারও করেছে মা ও মেয়ে। পুলিশকে জেরায় তারা জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্রগুলি ওই ট্রলিতে ভরা হয়েছিল। ওই ট্রলি কোথায় রয়েছে তা জানতে ধৃতদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা। শীঘ্রই ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।