ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন মণীশ রঞ্জন। ২২ এপ্রিল ভূস্বর্গের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেরিয়েছিলেন স্ত্রী পুত্রকে সঙ্গে করে। তখনও কেউ ভাবতে পারেনি চারিদিকে পাহাড় ঘেরা উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হবে মণীশকে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার মণীশ রঞ্জন। বাড়ি পুরুলিয়ার ঝালদায়। বেশ কিছুদিন কর্মসূত্রে কাশ্মীরে ছিলেন তিনি। এবার পরিবার নিয়ে পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই স্ত্রী-পুত্রের সামনে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
পহেলগাঁওয়ের এই জঙ্গি হামলায় মণীশ ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে বাংলার আরও ২ বাসিন্দার। তাঁর মধ্যে একজন কলকাতার বিতান অধিকারী। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কর্মসূত্রে ফ্লরিডানিবাসী। কলকাতায় ফিরেছিলেন গত ৮ এপ্রিল। গত বুধবার ছুটিতে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বিতান বেড়াতে গিয়েছিলেন ভূস্বর্গে।
পরিবার-সহ বিতানের বাড়ি ফেরার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। আর ফেরা হল না। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে বিতানের দেহ। ইতিমধ্যেই বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে পৌঁছেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ফোনে খবর পেয়ে তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জন পর্যটকের তালিকায় নাম রয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহর। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গেছিলেন তিনি। বুধবারই ফেরার কথা ছিল তাঁদের। আর ফেলা হল না। স্ত্রী-মেয়ে বেঁচে ফিরলেও, জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সমীর।