দেশের প্রতিটি বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনের ব্যবহারযোগ্য জল সুনিশ্চিত করতে 'জল জীবন মিশন' নামের একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করেছে সরকার। ২০১৯ এর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ভারতের ৫০ % পরিবারে এখনও পাইপের জল পৌঁছয়নি। তা পৌঁছে দিতেই কেন্দ্রের 'জল জীবন মিশন'। এই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৩৫০ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্র এবং রাজ্য একসঙ্গে এই কাজটি করবে বলেও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কলের জল পৌঁছে দেওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
২০১৯-২০-র বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নর্মলা সীতারামনও 'হর ঘর নল সে জল' কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিলেন। এও 'জল জীবন মিশনের'ই আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী। বৃষ্টির জল ধরে রাখা, জল সংরক্ষণ, গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে একই জল নানা কাজে একাধিকবার ব্যবহার করা যায়, সেই সব কৌশল নিয়েই কাজ করা হয় 'হর ঘর নল সে জল' কর্মসূচীতে। ব্যক্তিগত নয়, 'জল জীবন মিশন' দাঁড়িয়েই রয়েছে সমাজের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর ভিত্তি করে। তথ্য, শিক্ষা, এবং যোগাযোগ, কেন্দ্রের মতে এই প্রকল্পের জন্য সবচেয়ে জরুরি এই তিনটি বিষয়। জলসম্পদে, সকলের অধিকার। তাই জল সংরক্ষণ যেন সকলের বাঁচার স্বার্থেই গণ আন্দোলনের চেহারা নেয়, 'জল জীবন মিশনের' পেছনে কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য এটাই।