বন্দুকের জাল লাইসেন্স (Fake license) তৈরির একটি বড়সড় চক্রের হদিশ পেল সিআইডি (CID)। ওই জাল লাইসেন্স বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীদের মোটা অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হতো। সেই জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে নিরাপত্তা রক্ষীরা বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিল। চক্রের এক চাঁইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তার সঙ্গে ৫ নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের নাম সফিক মোল্লা, জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ ও বিমান মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হরিণডাঙায় সফিকের বাড়ি। সে-ই জাল লাইসেন্স তৈরির চাঁই বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতার দক্ষিণদাড়ি, জগৎপুর, বন্ডেল গেট প্রভৃতি জায়গায় হানা দিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের ৫টি বন্দুক ও তাদের লাইসেন্সগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চক্রটি বন্দুকের জাল লাইসেন্স সরবরাহ করেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। চক্রের বিষয়ে বিশদে জানতে এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। ৬ জনকে ৮ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী জাল বন্দুকের লাইসেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছে বলে কিছুদিন আগে খবর মেলে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি।