হাওয়ায় ফাগুন, স্থলে জলে বনতলে দোল কিন্তু লেগে গিয়েছে। শুরু হবে রং-এর উদযাপন। কিন্তু বাজার চলতি রং কিন্তু ত্বক এবং চুলে পুষে রাখলে বিপদ বাড়তে পারে, হতে পারে কঠিন কোনও চর্মরোগও। তাই রাসয়ানিক আবিরের পাশাপাশি গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ভেষজ বা অর্গানিক আবিরের চাহিদা বেড়েছে বাজারে। এই আবিরে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না।
আর বনে বনে ফাগুন লাগতেই কোমর বেঁধে ভেষজ আবির তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের নাটাবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের চাড়ালজানি গ্রামের মহিলারা। পালং শাক, বিট, কাঁচা হলুদ, গাঁদা ও পলাশ ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে রকমারি রঙবেরঙের আবির। তাঁদের এই আবির তৈরির কাজে সহায়তা করছেন নাটাবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ডঃ বাসককান্তি দিন্দা। প্রথম থেকেই এই কাজে গ্রামের মহিলাদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন বাসককান্তি।
কীভাবে তৈরি হচ্ছে রঙ?
বিট দিয়ে গোলাপি আবির, কাঁচা হলুদ ও গাঁদা ফুল দিয়ে হলুদ আবির, এবং পালং শাক দিয়ে সবুজ আবির তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে রং বানাতে হলুদ, গাঁদা ফুল , শাকের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে অ্যারারুট, বার্লি। এই রঙ মাখলেও ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই প্রয়াসের মূল উদ্দেশ্য গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করা। এই আবির কোচবিহার ছাড়াও পৌঁছে যাবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।
শুধু কোচবিহারই নয়। ভেষজ আবির তৈরি করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ও হর্টি কালচার বিভাগের পড়ুয়ারাও।