বসিরহাটে দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী (Satyendra Chowdhury) এখনও ফেরার । এদিকে, পুলিশি জেরায় সব (Baguiati Students Murder) দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত অভিজিৎ বসু । মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েছিল অভিজিৎ এবং কীভাবে এই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছিল, তাও জানিয়েছে ।
অভিজিৎকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অতনু নামে ওই ছাত্র সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের বাইক কেনার জন্য। কিন্তু সত্যেন্দ্র তা কেনেনি । উল্টে তার থেকে আরও টাকা দাবি করে। কিন্তু অতনু সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি। এই থেকেই গোলমালের সূত্রপাত । এরপর ২২ অগাস্ট রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলা হয় । ঘটনাটি ঘটেছিল বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কোনও একটি জায়গায়। এরপর দুই ছাত্রর দেহ নিয়ে গাড়িতে চেপে আরও এগিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অনেকটা এগিয়ে গিয়ে, দুটি পৃথক পৃথক জায়গায় খালের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় ছাত্রদের দেহ। পুলিশি জেরায় এই কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিজিৎ বসু। তবে একটা প্রশ্ন উঠছে যে, অপহরণের দিনই যদি হত্যা করা হয়, তাহলে মুক্তিপণ চাওয়া হল কেন ?
অভিজিৎকে জেরা করে পুলিশের তরফ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বারুইপুর, কলকাতা, বসিরহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হয় । শনাক্তকরণ হয়নি, এমন কোনও দেহ কোথাও পড়ে রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয় । সেই সূত্র ধরেই বসিরহাটের মর্গে তিনটি দেহের খোঁজ পাওয়া যায়, যেগুলির শনাক্তকরণ হয়নি। তার মধ্যে দু'টি দেহ নিখোঁজ কিশোরের ।