ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ব্রিটিশদের সঙ্গে ঠিক কতোটা সমঝোতা করা হবে, সেই নিয়ে মহাত্মার সঙ্গে নানা সময়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন নেতাজি। দুই নেতার দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছয়, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে সুভাষের প্রার্থী হওয়াকে সমর্থন পর্যন্ত করেননি গান্ধীজি।
১৯৩৮ সাল, জাতীয় কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে সুভাষ বোস সভাপতি নির্বাচিত হলেন, সে সময় সুভাষকে সমর্থন করেছিলেন মহাত্মা। ঠিক পরের বছর ত্রিপুরি কংগ্রেস অধিবেশনেই ছবিটা পালটে গেল একদম। সভাপতি পদের জন্য নেতাজীর প্রতিপক্ষ হিসেবে গান্ধী দাঁড় করাতে চাইলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে। কিন্তু মৌলানা আবুল কালাম নির্বাচনি প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। এবার সুভাষের প্রতিপক্ষ হিসেবে গান্ধী নির্বাচনে দাঁড় করালেন পট্টভি সীতারামাইয়াকে। গান্ধীর সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন লড়া, খুব সহজ কথা নয়, চ্যালেঞ্জ নিলেন সুভাষ। এবং জিতলেন, আরও একবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলেন নেতাজি।
সেই সময় এল মহাত্মার বিবৃতি, "সুভাষের জয়ে আমি খুশি, কিন্তু পট্টভি সীতারামাইয়ার হার আসলে আমার হার'।