প্রত্যাশা ভঙ্গ। ভারতে অনেকেই চেয়েছিলেন এবার জিতুন কমলা হ্যারিস। সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প জিততেই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে চলল জয়ের উদযাপন। আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এত কেন মাতামাতি! কী কানেকশন আছে এই গ্রামের সঙ্গে?
কারণ উষা ভান্স। এবার নির্বাচনে টাম্পের রানিং মেট জে ডি ভান্সের স্ত্রী উষা। গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের নামও জানান ট্রাম্প। উল্লেখ করেন উষার কথাও। উষা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। উষার জন্ম সান দিয়াগোতে। শৈশব ও বেড়ে ওঠা আমেরিকাতেই। কিন্তু তাঁর পূর্বপুরুষের বাস ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের ভাদলুরু গ্রামে। তাঁদের গ্রামের মেয়ে, আমেরিকার সেকেন্ড লেডি হবেন। নির্বাচনের আগে ১৩,৪৫০ কিলোমিটার দূরে বসে হোম-যজ্ঞ করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। মনে প্রাণে চান, ট্রাম্প জিতুক। তা হলেই জিতবে তাঁদের ঘরের মেয়ে। আর জয়ের পর খুশিতে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের আশা, উষা কখনও এই গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন।
উষা ভান্সের প্রপিতামহ চিলুকুরি রাধাকৃষ্ণান এই ভাদলুরু গ্রামেরই লোক ছিলেন। চেন্নাই থেকে পিএইচডি পাস করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা যান ও সেই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান। উষা এই পরিবারের মেয়ে। ২০১৪ সালে জে ডি ভান্সের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তিন সন্তান তাঁদের। ডোনাল্ড ট্রাম্প জিততেই, ভাদলুরুর বাসিন্দারা তাই জয়ের উদযাপনে ভেসে যান।
আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফলের পর ভাদলুরু খুশিতে ভাসছে। কিন্তু ৭৩০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাড়ুর আরেকটি গ্রামে বাজছে বিষাদের সুর। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দাদুর গ্রাম থুলাসেন্দ্রাপুরম। হারের পর মুষড়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। এই গ্রামে স্কুলের সব ছোট ছোট বাচ্চারাও কমলা হ্যারিসের সঙ্গে পরিচিত। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়। কিন্তু তাঁর মায়ের বাড়ি ছিল তামিলনাড়়ুর এই গ্রামেই। ডেমোক্রেটিকের হয়ে যখন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন, তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। হারের পর মন ভেঙে গিয়েছে গ্রামবাসীর।