জ্ঞানবাপী কাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল বারাণসী আদালত। মসজিদ চত্বরে উদ্ধার তথাকথিত শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিংয়ের আবেদনে সায় দিল না আদালত। মসজিদের অজুখানায় শিবলিঙ্গ উদ্ধারের দাবি করে সেটির বয়স জানতে কার্বন-ডেটিং পরীক্ষার আর্জি জানানো হয়। শুক্রবার এই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি অজয়কুমার বিশ্বেশ।
২০২১ সালের অগস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ওজুখানা নামে পরিচিত অঞ্চলের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে। এরপর সেখানে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হয় আদালতে। তার ভিত্তিতে মসজিদের অন্দরের ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দেয় বারাণসীর নিম্ন আদালত। উল্লেখ্য, এই কার্বন ডেটিং পরীক্ষার বিরোধিতা করে জেলা আদালতে যায় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।
আরও পড়ুন- Chennai girl dies: চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেওয়া হল মেয়েকে, শোকে মৃত্যু হল বাবারও
শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণে এই কার্বন ডেটিং পদ্ধতির সফল প্রয়োগ নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, মূলত জীবাশ্ম বা দেহাবশেষের বয়স নির্ধারণ করে এই কার্বন ডেটিং পদ্ধতি। পরিবেশে কার্বনের সর্বাধিক প্রাপ্ত আইসোটোপের নাম কার্বন-১২। সেই সঙ্গেই মেলে খুব অল্প পরিমাণ কার্বন-১৪। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিবেশে এই দুই আইসোটোপের অনুপাত প্রায় স্থির।
এই দুই ধরনের আইসোটোপ গ্রহণ ও ত্যাগ করে যে কোনও জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদ। কিন্তু মৃত্যুর পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হলেও কার্বন-১২ আইসোটোপের ক্ষয় হয় না। অন্যদিকে, তেজস্ক্রিয় কার্বন-১৪ আইসোটোপ প্রায় ৫,৭০০ বছর পর পরিমাণে অর্ধেক হয়ে যায়। যাকে বিজ্ঞানী বলে থাকেন 'হাফ লাইফ'। কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে উদ্ভিদ-প্রাণীর জীবন-মৃত্যুর হিসেব করে বয়স নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু সেই একই পদ্ধতি শিলার ক্ষেত্রেও খাটে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে বিজ্ঞানীরা।