এবার কাশ্মীরেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষ। ২০২৫-এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কাশ্মীর উপত্যকায় পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে রাজধানী দিল্লি থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় চলবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কাশ্মীরের প্রবল শীত ও হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রাকে হার মানিয়ে কীভাবে চলবে ট্রেন! রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই স্পেশাল বন্দেভারত এক্সপ্রেসে বেশ কিছু নতুন ফিচার্সও থাকছে। যা দেশের অন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নেই।
কোন রুটে চলবে এই ট্রেন
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে উধমপুর- শ্রীনগর-বারামুল্লা রুটের মাধ্যমেবন্দেভারত কাশ্মীর উপত্যকায় প্রবেশ করবে। বিশ্বের উচ্চতম রেলওয়ে স্টেশন চেনাব ব্রিজের কাজও ইতিমধ্যে শেষ করে ফেলেছে রেল। কিছু টানেলের কাজ বাকি ছিল। বন্দেভারতের এই রুট চালু হওয়ার আগে সেই সব কাজ শেষ করে নিতে চায় রেল। এই রুটের ফলে পাটনিটপ, ভাদেরওয়ার মতো জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা। আম্বালা, লুধিয়ানা, কাঠুয়া, জম্মু তাওয়াই, বৈষ্ণো দেবী কাটরা, সাংলাদান ও বানীহালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই বন্দেভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ থাকবে।
ট্রেনের ভাড়া
রাজধানী থেকে কাশ্মীরে পৌঁছনোর প্রথম স্লিপার ট্রেন হবে এটি। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য রেলওয়ে খরচ করেছে ৩৭,০১২ কোটি টাকা। এই ট্রেনে ১১টি এসি থ্রি টিয়ার কোচ, ৪টি এসি টু টিয়ার কোচ ও একটি ফার্স্ট এসি কোচ থাকবে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি থেকে থ্রি টিয়ারে ভাড়া হবে ২০০০ টাকা। টু টিয়ারে ভাড়া হবে ২৫০০ টাকা। প্রথম শ্রেণির কুপের ভাড়া হতে পারে ৩০০০ টাকা। অনেক কম খরচে বিভিন্ন স্টেশনের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে।
কী কী ফিচার্স থাকছে
হিটিং ফিচার্স
স্পেশাল বন্দেভারত এক্সপ্রেসে একাধিক ফিচার্স থাকবে। বছরের অধিকাংশ সময় কাশ্মীরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। তুষারপাত ও শীত মোকাবিলায় রেলের অনেক যন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে। তার জন্য এই স্পেশাল ট্রেনে থাকছে হিটিং ফিচার্স। রেল সূত্রে খবর, রেলের ড্রাইভারদের লুক-আউট গ্লাসে এই হিটিং ফিচার্স থাকবে। যাতে তুষারপাত বা হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা থাকলে পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তাই এই ফিচার্স।
ড্রায়ার মেকানিজম
এই ট্রেনের ব্রেক সিস্টেমেও ড্রায়ার মেকানিজম ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে রেললাইনে তুষারপাতে কোনও সমস্যা না হয়।
সিলিকন হিটিং প্যাড
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কিছু ওয়াটার ট্যাঙ্ক রাখা হয়েছে। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে সিলিকন হিটিং প্যাড। জল যাতে জমে বরফ না হয়ে যায়, তাই এই ব্যবস্থা। সেলফ রেগুলেটিং হিটিং কেবলও থাকছে এই ট্রেনে। ট্রেনের জল নিকাশি ব্যবস্থাতেও হিটিং কেবল ও থার্মাল ইনসিউলেশনও থাকছে। এসি কোচগুলিতে গড়ে ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রাখা হবে বলে জানিয়েছে রেল।