১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর শিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গতে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে একাধিক যন্ত্র। কিনেতু সবকিছুই বিফলে গিয়েছে। অবশেষে ব়্যাট হোল পদ্ধতিতে উদ্ধারকাজে গতি বেড়েছে। কিন্তু এই ব়্যাট হোল প্রযুক্তি কী?
ব়্যাট হোল প্রযুক্তি-
খুব সহজে বলতে গেলে ইঁদুরের গর্ত তৈরির প্রযুক্তি। অতীতে ছোটো ছোটো এবং অগভীর খাদান থেকে কয়লা তুলতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। সর্বোচ্চ চার ফুট চওড়ার একটি গর্ত তৈরি করা হত। গাঁইতি, শাবল সহ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই গর্তের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যেত কয়লা স্তরে। এবং সেখান থেকে কয়লা কেটে মাটির বাইরে নিয়ে আসা হতো।
ব়্যাট হোল প্রযুক্তি নিষিদ্ধ-
মূলত মেঘালয়ে ব়্যাট হোল প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করা হত। কিন্তু ২০১৪ সালে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল ওই পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। জানানো হয়, পুরো প্রক্রিয়াটি অবৈজ্ঞানিক। যদিও এরপর যে ব়্যাট হোল মাইনিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। ২০১৮ সালে অবৈধভাবে কয়লা খনন করতে গিয়ে ১৫ জন ধসে চাপা পড়ে। মাত্র ২ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। জানা গিয়েছিল, সেসময় ব়্যাট হোল পদ্ধতিতেই কয়লা উত্তোলন করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। ২০২১ সালেও একটি ঘটনায় ৫ জন কয়লা খননকারী ধসে চাপা পড়েন।
উত্তরকাশীর উদ্ধার কাজে ব়্যাট হোল প্রযুক্তি
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে এই পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে। শাবল, গাঁইতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি মাইক্রো টানেল। যা পৌঁছে গিয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে। ওই মাইক্রোটানেল দিয়েই বের করা হবে আটকে পড়া শ্রমিকদের।