রাজ্যে চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে স্কুল নিয়োগে জালিয়াতি হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশেষ করে ওএমআর শিট নিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রশ্ন উঠলেও সুপার নিউমেরারি পোস্টে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। ফলে এদিনের শুনানি শীর্ষ আদালতে রাজ্যের কাছে স্বস্তি ও অস্বস্তি দুটোই হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যে, হাইকোর্টের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার স্কুল কর্মীর চাকরি।
প্রশ্ন উঠছে, এই ২৬ হাজারের মধ্যে যোগ্য কতজন, অযোগ্য কতজন ? এদিনের শুনানিতে ঠিক এই প্রশ্নটাই রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকে জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর প্রশ্ন, যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই কোন উপায়ে করা হবে ? আর এই যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করতে গিয়ে কোনও ভুল হবে না, তারই বা কী নিশ্চয়তা?
সাতই মে রাজ্যের তৃতীয় দফার ভোট। তার আগে, ছয় তারিখ নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই দিনের শুনানিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।