আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে লাগু হবে CAA। কাকদ্বীপে গত রবিবার এই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবার কলকাতায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন জারি হতে পারে। দুই বিজেপি নেতার এই দাবির উত্তরে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এই সব বিজেপির ভোটের রাজনীতি।
তবে এটা যে স্রেফ ভোটের রাজনীতি নয়, তারই একটা ইঙ্গিত মিলেছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র থেকেই। ওই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ধারায় যাতে সংসদীয় সবুজ সংকেত মেলে, তার তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই ব্যাপারে সংসদ থেকে ছাড়পত্র পেলেই সরকারি নির্দেশিকা জারি করবে কেন্দ্র। সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিএএ নিয়ে যা হচ্ছে, তা ভোটের রাজনীতি। যাঁরা রেশন পান কিংবা ভোট দেন, তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। তাঁদের আলাদা করে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল নেত্রীর মতোই দেশের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই নয়া আইনের বিরোধী।
তবুও, কেন্দ্র চাইছে, এই ব্যাপারে রাজ্যের ভূমিকাকে ন্যনূতম করে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেই দিকটিতে বিশেষ নজর দিতে। নাগরিকত্ব প্রদান কেন্দ্রের বিষয়, তাই সব তথ্য খতিয়ে দেখে যোগ্য ব্যক্তিকে অনলাইনে নাগরিকত্ব শংসাপত্র মঞ্জুর করবে কেন্দ্র।