দু'দিন আগেই গাজিয়াবাদ গণধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার বীভৎসতার বিবরণ জানতে পেরে চোখ কপালে উঠেছিল অগণিত ভারতবাসীর। অনেকেই এই গণধর্ষণের মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন ২০১২ সালে দিল্লিতে ঘটনা 'নির্ভয়া'-কাণ্ডের ছায়াও। এবার পুলিশ জানাল, এমন কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেইনি! পুরোটাই সাজানো! বৃহস্পতিবার পুলিশ দাবি করেছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে কয়েকজন পুরুষকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা বলেছিলেন ওই মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজিয়াবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গণধর্ষণের ঘটনাটি ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা এবং অভিযুক্তদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। পুলিশ আরও জানায়, এই ঘটনায় মহিলাকে যে তিনজন সাহায্য করেছেন তাঁদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মহিলার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।
মিরাট রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরেই একটি মিথ্যা গল্প ফাঁদেন ওই মহিলা। তিনি আজাদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন। পুলিশ আজাদকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আজাদের দুই সহযোগীকে। ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ”।
উল্লেখ্য, এর আগে গণধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতারও করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয় বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ঘটনাটির 'আসল সত্য' সামনে আসার পর হকচকিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরাও।