রাজ্যের আর্জিতেই সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলা। ২৭ সেপ্টেম্বরের বদলে এই মামলার শুনানি হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। শীর্ষ আদালত সূত্রে একথা জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষের মত নিয়েই শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। গত শনিবার রাজ্যের তরফে আরজি কর মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। সোমবার আদালত খুলতে রাজ্যের আর্জিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় শনিবার রাজ্যের তরফে আরজি কর শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী আস্থা শর্মা আবেদন জানিয়েছিলেন, ২৭ তারিখের বদলে শুনানি হোক ৩০ সেপ্টেম্বর। তাতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য ছিল, শুনানি পিছনোর ব্যাপারে সবপক্ষের মতামত জানা জরুরি।
এর আগে শেষ শুনানিতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই রিপোর্ট বিচলিত করার মতো। আরজি করের ঘটনায় গভীর শিকর রয়েছে। তাই এই তদন্ত যাতে ঠিক ভাবে হয়, তার জন্য সিবিআইকে সময় দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের থেকে সময় পেয়েও, শিয়ালদহ আদালতে কার্যত ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই। কারণ, এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পর এবার সন্দীপ ঘোষের নার্কো পরীক্ষার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিন্তু আদালত সাফ জানিয়েছে, নার্কো পরীক্ষায় সম্মতি দেওয়া ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
তাই এই অবস্থা থেকে সন্দীপ ঘোষকে রাজি করানোই এখন চ্যালেঞ্জ সিবিআইয়ের। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল আদৌও জড়িত কীনা, তা নিয়ে গত শুনানিতে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাব সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে এখনই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নতুন শুনানির আগেই অবশ্য নিজেদের অবস্থান থেকে আংশিক ভাবে সরে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আংশিক ভাবে তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে, তাঁদের হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে রাজ্যের দেওয়া নির্দেশিকা জারি না হলে, তাঁরা ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন।