এখনও ঝুলছে রোপওয়ে (Ropeway Accident)। ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যাত্রীদের এখনও সম্পূর্ণভাবে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে (Deoghar) রবিবার রোপওয়ের দুর্ঘটনার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেড়দিন পরেও ঘটনাস্থলে আটকে রয়েছেন আরও ১৫ জন পর্যটক। মঙ্গলবার ভোর থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ জনকে।
রবিবার সন্ধ্যেবেলা ত্রিকূট পাহাড়ে (Trikut Pahar) যাওয়ার রোপওয়ে ছিঁড়ে যায়। সোমবার উদ্ধারকাজ চলার সময় হাত থেকে দড়ি ফসকে খাদে পড়ে যান এক পর্যটক। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকেই ফের উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা, আইটিবিপি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
আরও পড়ুন: হাঁসখালিকাণ্ডে আরও তৎপর পুলিশ, গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের বন্ধু প্রভাকর পোদ্দার
রবিবার বিকেলেই দেওঘর জেলার ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে ছিঁড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পর্যটকরা। দুর্গম পাহাড়ে অন্ধকার নামায় উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি। সারারাত রোপওয়ের মধ্যেই আটকে থাকেন পর্যটকরা। সোমবার ভোরবেলা থেকে ফের উদ্ধারকার্য শুরু হয়। কিন্তু সোমবারও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। রাতে অন্ধকারে যাতে যাত্রীরা যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়ে, তার জন্য মাইকিং চলেছে। পর্যটকদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে ভয় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ক্যাম্প করেছে।