সংসদে রং-বোমার ঘটনায় তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি । সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন উঠছে । ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে রং বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড । বাকি অভিযুক্তদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই হামলার পিছনে তাঁদের উদ্দেশ্য কী, ছিল, এর সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশ । জানা গিয়েছে, বুধবার সংসদের ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল । এছা়ড়া, পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন হাতে কিছু প্যামফ্লেট নিয়ে সংসদের ভিতর ঢুকেছিলেন দুই যুবক । আর সেগুলি নাকি দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে ।
জানা গিয়েছে, বুধবার সংসদে রং বোমা নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের হাতে প্যামফ্লেট ছিল । প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে উপস্থিত ছিলেন না । তিনি থাকলে তাঁর কাছে ওই প্যামফ্লেট পৌঁছে দিতেন দুই যুবক । কী লেখা ছিল সেখানে ? অভিযুক্তেরা লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরুদ্দেশ! তাঁকে খুঁজে পেতে সাহায্য করলে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে । সেদিন ঠিক আর কী কী ঘটেছিল, কীভাবে তাঁরা সংসদের কক্ষে প্রবেশ করেছিল, তা জানতেই বুধবারের অভিযুক্তদের নিয়ে ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে দিল্লি পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, শনিবার বার রবিবার যখন সংসদে অধিবেশন থাকবে না, তখন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে । উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি থেকে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিতকে গ্রেফতার করা হয় । এই ঘটনায় ধৃত চারজনকে জেরা করে ললিতের নাম পায় দিল্লি পুলিশ । এরপর শুরু হয়েছিল তল্লাশি। তদন্তে ললিতের সঙ্গে বাংলার যোগও উঠে আসে। এদিন কলকাতার বড়বাজার এবং উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ললিতের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয় । তারপর দিল্লিতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত ।