বিপন্ন গণতন্ত্র। সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে বুধবার সকালে ফের সংসদের বাইরে বিক্ষোভ বিরোধীদের। গত শুক্রবার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সংসদের উভয়কক্ষ মিলিয়ে সাসপেন্ড ১৪১ জন বিরোধী সাংসদ। যা ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে নজির বিহীন বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। এদিন সংসদে বিরোধীদের বিক্ষোভে সামিল হন সাংসদ সনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর স্পষ্ট বার্তা, সংসদ হাঙ্গামার জায়গা নয়। সরকার চায় সুষ্ঠু আলোচনার মধ্যে কাজ করতে। কিন্তু বিরোধীরা জোর করে সংসদের অধিবেশন রোখার চেষ্টা করেছে। তার জন্যই লোকসভার স্পিকার মঙ্গলবারও ৫০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন।
মূত গত বুধবার লোকসভায় রং-বোমার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতিতে দাবিতে এখনও অনড় বিরোধীরা। তাদের দাবি, সংসদের উভয়কক্ষেই বিবৃতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। জানাতে হবে কেন ৮৬২ কোটি টাকা খরচের নতুন এই সংসদ ভবনে নিরাপত্তায় গাফিলতি হল। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই অমিত শাহ জানিয়েছেন, সভায় স্পিকারই শেষ কথা। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।