রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এখন এই চিন্তাই গ্রাস করছে ভাইজানের ভক্তদের। কখন কী হয়ে যাবে, তা ভেবেই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। সত্যি স্বস্তি নেই ! না-হলে, রোজই আর হুমকি আসে ! এবার যেন ভাইজানের পিছনে আদাজল খেয়ে লেগেছে বিষ্ণোনই গ্যাং। আর যেন পারা যাচ্ছে না।
কেন, সলমনের স্বস্তি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ? কেন টার্গেটে বান্দ্রায় তাঁর গ্যালাক্সি। কখনও দু কোটি, কখনও পাঁচ কোটি চেয়ে কেন বারবার আসছে হুমকি। যা মুম্বই পুলিশের চিন্তার ভ্রুরুকেও আরও পুরু করছে। এবার হুমকি এসেছে মাত্র সাতদিনের মধ্যে।
প্রথমে দাবি ছিল দু কোটি। এবার একেবারে পাঁচ কোটি। আর না দিতে পারলে, পরিণতি ভয়ঙ্কর ! এর সঙ্গে আরও একটা শর্ত রয়েছে। বিষ্ণোই মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে ভাইজানকে। কী হবে সলমন খানের ? তাঁকে ঘিরে আর কতটা দূর্গ তৈরি করবে মুম্বই পুলিশ ?
কে দিচ্ছে এই হুমকি ? মুম্বই পুলিশের সাফ কথা, লরেন্স বিষ্ণোই। রাজস্থানের এই গ্যাংস্টার তার দলবলকে অপারেট করে পঞ্জাবের জেলে বসে। ২০১৮ সালে গ্রেফতারের পর থেকেই তার টার্গেট সলমন খান। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার বদলা নিতেই নাকি এই পরিকল্পনা লরেন্সের।
পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে এবার সলমনকে হুমকি দিয়েছে তার ভাই আনমোল। এমনটাই দাবি মুম্বই পুলিশের। গত ৩০ অক্টোবর পুলিশের ট্রাফিক গার্ডের কাছে এসেছে এই হুমকি বার্তা। পাঁচ কোটি টাকার সঙ্গে সলমনকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও ওই হুমকিতে বলা হয়েছে।
সেই কবে রাজস্থানে শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমন খানের বিরুদ্ধে। তার পর আইন, আদালত অনেক কিছুই হয়েছে। সামান্য কয়েকদিন কারাগারের ওপারে থাকতে হয়েছে ভাইজানকে। ওই মামলা থেকে রেহাইও পেয়েছিলেন। আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।
কিন্তু লরেন্সের নজর থেকে এখনই নিস্তার নেই। সম্প্রতি বিহার ও উত্তরপ্রদেশ উইংকে কাজে মুম্বইয়ে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই ক্রমাগত হুমকি ফোনে জর্জরিত বলিউডের এই অভিনেতা। সেইসঙ্গে চাপ বাড়ছে মুম্বই পুলিশের উপরেও।