কেরলের মত শিক্ষিত রাজ্যে নরবলির ঘটনায় রীতিমত শিউরে উঠছিল সকলে। এবার আরও এক ভয়ানক তথ্য সামনে এল। সূত্রের খবর, নরবলি দেওয়ার পর ওই দুই মহিলার মাংস খেয়েছিল অভিযুক্ত ওই দম্পতি!
পুলিশের অনুমান, রোসিলি এবং পদ্মমকে প্রচুর টাকা পয়সার লোভ দেখানো হয়েছিল। আর সেই লোভ তাঁদের ওই দম্পতির বাড়িতে আসতে বাধ্য করে। তার পরেই মূল অভিযুক্ত শফির কথা মতো ওই দম্পতি রাতারাতি বড়লোক হতে ওই দুই মহিলাকে বলি দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে ওই দুই মহিলার হাত পা বাঁধা হয় । তারপর তাঁদের গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর নৃশংস ভাবে কেটে ফেলা হয় তাঁদের দুজনের স্তন । শরীর থেকে সব রক্ত ঝরে যাওয়ার পর তাঁদের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। এই দুই মহিলার মধ্যে একজনের দেহ ৫৬ টুকরো করে কাটা হয়। এরপর বড়লোক হতে ওই দম্পতি সেই মাংস খেয়েছিলেন বলেও মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই দম্পতি। তারা জানিয়েছে, কালাজাদু করে বড়লোক হওয়ার আশায় ওই দুই মহিলার গলা চিরে হত্যা করা হয়েছে। এরপর শরীরের অংশগুলি একাধিক টুকরো করে দুটি তিরুভাল্লার কাছে আলাদা জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।