ভয়ঙ্কর রোপওয়ে দুর্ঘটনা (Ropeway accident) ঘটল দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে (Trikut hills)। মৃত্যু হল ১ জনের। আহত হয়েছেন ১০ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ঘটনা ঘটার পর সোমবার বেলা পর্যন্ত ৪৭ জন ঝুলছেন ওই রোপওয়েতে। দুর্ঘটনার খবর আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। ছুটে আসেন প্রশাসনের কর্তারা। উদ্ধারকার্যে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামে সেনা ও আধাসেনা। বায়ুসেনার (IAF) দুটি কপ্টারও নামানো হয়েছে উদ্ধারকার্যে।
আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে রোপওয়ে পরিষেবা। আটকা পড়ে যাওয়া পর্যটকদের কাছে এখনও পানীয় জল পাঠানো সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে কোনও মন্ত্রী বা সরকারি আধিকারিককে দেখা যায়নি। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাঁসখালি কাণ্ডে ছাড়া হল তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা দায়ের
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওঘরের (Deoghar) ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজনাত্রী জানান, "পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) একটি দল রবিবার রাত থেকে উদ্ধার কার্য শুরু করে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করেছেন। স্থানীয়রাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। রবিবার গভীর রাতে তাঁদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়"।
কী কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ার পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হবে।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, কোনও কারিগরী ত্রুটির ফলে এই দুর্ঘটনা। ডেপুটি কমিশনার জানান, এই রোপওয়েটি চালানোর দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
ঝাড়খণ্ড পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উচ্চতম উল্লম্ব রোপওয়ে হল ত্রিকূট রোপওয়ে। যার লেনসের অ্যাঙ্গেল হল ৪৪ ডিগ্রি। বৈদ্যনাথ মন্দির থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই রোপওয়েটি ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৩৯২ মিটার উঁচু।