হাতে অস্ত্র রয়েছে। তা ভোঁতা এমনটা বলা যাবে না। তবুও, সময়ে কাজ করবে কীনা, সেই গ্যারান্টি কিন্তু দেওয়া যাচ্ছে না। তাই শীত আসার অনেক আগে থেকেই ফের সংশয় তৈরি হল ঘন কুয়াশার চাদড় সরিয়ে রেল চলবে কী করে ? তাহলে কি হবে ? আগাম সতকর্তা হিসাবে, রেল জানিয়ে দিল এবারও গাড়ি লেটেই চলবে। তাহলে এই দামী অস্ত্র ?
পোশাকি নাম ফগ ডিফাইস। যে যন্ত্রের সাহায্যে ঘন কুয়াশার মধ্যে দিয়েও এগিয়ে যেতে পারে ট্রেন। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর ভারতের কুয়াশার কথা মাথায় রেখেই এই যন্ত্র ব্যবহার শুরু করেছিল ভারতীয় রেল। ২০১৯ সালে প্রথমবার ভারতীয় রেলে শুরু হয়েছিল এই যন্ত্রের ব্যবহার।
প্রথমবার রেলের হাতে এই যন্ত্র ছিল মাত্র ৬,৯৪০টি। ২০২৪ সালে পাঁচ বছর পর এই যন্ত্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,৭৪২টি। রেলের দাবি, এই পাঁচ বছরে যন্ত্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২,৮০২টি। একটি ফগ ডিভাইসের দাম কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা। ফলে এই যন্ত্রের ব্যবহার করতে গিয়ে রেলের মোট খরচ হয়েছে, ৬৯ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এরপর....
এরপর কার্যত সেই একই কথা। এবারও ট্রেন লেট হবে। যা আগাম গেয়ে রাখল ভারতীয় রেল। কিন্তু কেন, এত খরচের পরেও কেন লেটের বার্তা ? সম্প্রতি দেশের ছোট-বড় প্রায় সব খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভারতীয় রেল আসন্ন শীতের মরশুমে যে সব ট্রেন সম্পূর্ণভাবে এবং আংশিক ভাবে বাতিল হতে পারে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মুখে না বললেও কার্যত সেখানে কুয়াশাকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই ঘটনাতেই স্পষ্ট এবার হালই ছেড়ে দিয়েছে রেল। বহু কোটি টাকা দিয়ে যন্ত্র কিনেও, কর্তারা যে কার্যত ব্যর্থ সেটাই এখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে শীতের শুরুর আগেই যাত্রীদের কাছে এবারও দেওয়াল লিখন স্পষ্ট। রেল এবারও লেট করছে। যার থেকে নিস্তার নেই।
কিন্তু ট্রেন বাতিল হলে, টাকা কী রিফান্ড হবে ? এই প্রশ্নটাও কিন্তু উঠছে। তাতে অবশ্য রেল জানিয়েছে, হ্যাঁ ট্রেন বাতিল হলে, সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই খবরে কী আগাম স্বস্তি পেলেন যাত্রীরা ? কারণ, ফি বছরই নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত হয় উত্তর ভারত, নয় উত্তরবঙ্গমুখী ট্রেনে তাঁদের ভোগান্তি পোয়াতে হয়। এবারও হবে, যা আগাম স্পষ্ট।