চলন্ত ট্রেনে মাত্র ১১ বছরের কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। পিটিয়ে মারা হল অভিযুক্ত রেলকর্মীকে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিগামী হামসফর ক্লোন এক্সপ্রেসে। মৃত ওই গ্রুপ ডি কর্মচারীর নাম প্রশান্ত কুমার। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাঁর দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারকে। মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, তবে এফআইআর দায়ের করা হবে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, বুধবার বিহারের বারৌনি থেকে বারাউনি-দিল্লি হামসফর ক্লোন এক্সপ্রেসে উঠেছিল এক পরিবার। পরিবারের বাকি সদস্যরা এসি কম্পার্টমেন্টে উঠলেও, টিকিট না থাকার কারণে রিজার্ভ কামরায় ওঠে ১১ বছরের কিশোরী ও তাঁর মা।
রাত ১১টা নাগাদ ওই ১১ বছর বয়সি কিশোরীকে নিজের আসন ছেড়ে দেন বছর তিরিশের প্রশান্ত কুমার। অভিযোগ, রাতে কিশোরীর মা শৌচাগারে গেলেই ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্ত। এরপর ওই নাবালিকা কান্নাকাটি শুরু করে। ঘটনার কথা শুনে ওই কিশোরীর মা বাড়ির বাকি লোকজনকে ফোন করে ডাকেন।
এরপর লখনউইয়ের কাছে ট্রেনের মধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অভিযুক্তকে মারধর শুরু করেন। কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে জিআরপি কর্মীরা ওই গ্রুপ-ডি কর্মীকে উদ্ধার করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।