কোন আইনে খারিজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে স্পষ্ট, কোনও সাংসদ-বিধায়ক যদি কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, এবং তাঁর সাজা যদি দু বছর বা তার বেশি সময় হয়, তাহলে আইন মোতাবেক তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ হয়ে যায়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাহুলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটতই। কারণ, মোদি পদবি মন্তব্যে সুরাত আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত রাহুল। তাঁকে দু বছরের জেলের সাজা দিয়েছিলেন বিচারক। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকায় জামিন মঞ্জুর করে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চআদালতে অ্যাপিল করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এরফলে কমপক্ষে ছয় বছর কোনও ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, একদশক আগে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় এই আইনের পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার। তখন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন রাহুল গান্ধী। যিনি তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সমালোচনা করেছিলেন মনমোহন সিং সরকারের। দশ বছর পর সেই আইনে আজ তিনিই বিদ্ধ।
২০১৩ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সাংসদ-বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হলে তাতে স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে বদলাতেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে যাওয়ার কথা ভেবেছিল মনমোহন সিং সরকার।